৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

-

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না। মাঝি নামে পরিচিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসবেন। এরপর তারা ফিরে এসে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিং দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। ব্রিফিংয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গও এসেছে।
মাহমুদ আলী বলেন, কোনো রোহিঙ্গাকেই জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। কেউ কেউ বলছেন, আমরা তাদের জোর করে ফেরত পাঠাতে চাইছি। এটা মোটেও ঠিক নয়। আমরা জোর করে ফেরত পাঠাতে চাইলে তাদের আশ্রয়ই দিতাম না। তবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান প্রস্তাব দিয়েছে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা, যাদের মাঝি বলা হয়, তারা রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসবেন। তারপর প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে বিদেশীদের আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদ আলী বলেন, কূটনীতিকদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বিরোধীদের অনুরোধে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সাথে সংলাপ করেছেন। এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রিফিংয়ের পর জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সিপ্পে বলেন, স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নীতির প্রতি সম্মান দেখানোয় বাংলাদেশে সরকারের সিদ্ধান্তকে জাতিসঙ্ঘ স্বাগত জানাচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে আদি নিবাসে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ঠ আস্থাশীল হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মিয়ানমারের।
নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, এই আস্থা রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব অবশ্যই বাংলাদেশের নয়। এটা মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য মিয়ানমার সরকারের এ পর্যন্ত নেয়া পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে মিয়া সিপ্পে বলেন, রোহিঙ্গাদের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সংশ্লিষ্ট সবাই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, প্রত্যাবাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত মানুষদের দ্রুত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় ভারত। আর এ লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে স্বদেশে ফিরতে চাওয়া উদ্বাস্তুদের জন্য রাখাইনে বাসা তৈরি করে দিয়েছে ভারত। এ ছাড়া কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের আমরা তিন দফায় ত্রাণসহায়তা দিয়েছি। শীতের চাহিদাকে সামনে রেখে আগামী দিনগুলোতে ভারত থেকে আরো ত্রাণ আসবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য দুই পক্ষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যেতে চাননি।


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিক নিহত পাঁচবিবিতে গাছের ডাল পড়ে পথচারীর মৃত্যু ঈশ্বরদীতে লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪,৫৩৫ জনে পাঁচবিবিতে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত উদ্ধার, আটক ৩ নারায়ণগঞ্জে তাপদাহে বিপর্যস্ত পশুপাখির পাশে টিম খোরশেদ দাগনভুঞায় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি ৩ তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা ইসরাইলিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট রুয়াং আবার অগ্ন্যুৎপাত, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু

সকল