করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সারা দেশে কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ স্থগিত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত সংশোধিত কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচিতে জেলা ও উপজেলায় সীমিত লোকজনের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত কর্মসূচি বলা হয়, সীমিতসংখ্যক আমন্ত্রিতদের উপস্থিতিতে ওই দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সীমিত আকারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থগিত করতে বলা হয়েছে জেলা ও উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। এর পরিবর্তে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ফুল ও উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ মার্চ রাতে দেশে ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট থাকবে। তবে কেপিআই, জরুরি স্থাপনা, চলমান যানবাহন এ কর্মসূটির আওতার বাইরে থাকবে। ২৬ মার্চ রাত্রে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতা দিবসের দিন ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে।
এ ছাড়া, ২৬ মার্চ দেশের সব সরকারি শিশু পার্ক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সিনেমা হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হবে। উন্মুক্ত স্থানে থাকবে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন।
এর আগে ৮ মার্চ দেশে তিনজন করোনারোগী শনাক্ত হওয়ায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করে স্বল্প পরিসরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কমিটি। ওই দিন থেকে আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণজমায়েত বা সমাবেশ না করার জন্য বলা হচ্ছে। একইভাবে এ ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা