২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিনা অভিযোগে ইসরাইলি কারাগারে আটকের প্রতিবাদে অনশনে ১৪ ফিলিস্তিনি

বিনা অভিযোগে ইসরাইলি কারাগারে আটকের প্রতিবাদে অনশনে ১৪ ফিলিস্তিনি -

বিনা অভিযোগে ইসরাইলি কারাগারে আটকে রাখার প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছেন ১৪ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী। প্রশাসনিকভাবে আটক এসব ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে কোনো ধরনের অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ডেটেইনি অ্যান্ড এক্স ডেটেইনি অ্যাফেয়ারস কমিশন’ এসব তথ্য দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ডেটেইনি অ্যান্ড এক্স ডেটেইনি অ্যাফেয়ারস কমিশন’ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে বলেছে যে এখুনি তারা যেন এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন যাতে করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অনশনরত ফিলিস্তিনিদের সাথে খারাপ ব্যবহার বন্ধ করে। এছাড়া অনশনরত ফিলিস্তিনিদের যেন নির্জন কারাবাসে না পাঠায়।

ইসরাইলের এ প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতি সর্বত্র তীব্র সমালোচিত হচ্ছে। ইসরাইল প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির আওতায় কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়া তিন থেকে ছয় মাসের মতো ফিলিস্তিনিদের আটকে রাখে। এরপর ইসরাইল এ কারাবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে বছরের পর বছর ওই ফিলিস্তিনিদের আটকে রাখে। কারাগারে আটক এসব ফিলিস্তিনিদের কোনো জামিন নেই। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তাও জানানো হয় না। এছাড়া ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের আইনজীবীরাও তাদের সাথে দেখা করার কোনো অনুমতি পান না। এমনকি তাদের জেল থেকে মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আইনি সহায়তাও তারা পান না।

বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির আওতায় ৫৪০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী অবস্থায় আছেন। এভাবে বিনা অভিযোগে আটকে রাখা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। এছাড়া প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির আওতায় বছরে পর বছর আটক থাকা সাবেক ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের শুধু এ কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে যে তারা ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।

এসব কারণে অনেক ফিলিস্তিনি কারাবন্দী যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছেন ততক্ষণ অনশন করেন। বিনা অপরাধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে তাদের আটক রাখার প্রতিবাদে তারা এ অনশন ধর্মঘট করেন। তারা ইসরাইলের প্রশাসনিক আটকাদেশ নীতির অবসান চান।

সূত্র : ওয়াফা নিউজ এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল