০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গুলি চালানো পুলিশের পক্ষে নেতানিয়াহুর সাফাই

গুলি চালানোপুলিশের পক্ষে নেতানিয়াহুর সাফাই - ছবি - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের সাথে পূর্ব জেরুসালেমে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসরায়েলি পুলিশের সাফাই গাইলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ‘শান্তি বিনষ্ট করতে কোনো ধরনের উগ্রবাদ মেনে নেয়া হবে না।’

নেতানিয়াহু এমন সময়ে পুলিশের সাফাই গাইলেন, যখন পরপর দুই দিন পূর্ব জেরুসালেমে পুলিশের সাথে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে গত শনিবারই আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

পূর্ব জেরুসালেমে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ইসরায়েলের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে জর্ডান, মিসর, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান, কাতার, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু নেতানিয়াহু এসব সমালোচনা গায়ে মাখছেন না। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের ওপর যে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। হতাশার বিষয় হলো, এই চাপ দিনকে দিন বাড়ছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তিফান দুজাহিদ রোববার বলেন, মহাসচিব বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল অবশ্যই সর্বোচ্চ সহনশীলতা প্রদর্শন করবে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে। তিনি বলেন, পূর্ব জেরুসালেমে সংঘর্ষের ঘটনা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহাসচিব গুতেরেস। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পরিবারগুলোর সম্ভাব্য উচ্ছেদের ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

স্তিফান দুজাহিক বলেন, ফিলিস্তিনের পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। এ ছাড়া খ্রিষ্টধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসও পূর্ব জেরুজালেমের সংঘর্ষের ঘটনায় মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সহিংসতা কেবল হিংসা বাড়ায়। এই সহিংসতা বন্ধ করুন।’

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ শনিবার আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। পাল্টা হিসেবে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারেন ফিলিস্তিনিরা।

এর আগে গত শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনেও পবিত্র আল-আকসা মসজিদ চত্বরে সংঘর্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। সংঘর্ষে ইসরায়েলি পুলিশেরও ১৭ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জারাহ এলাকা থেকে ৭০টির বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদের হুমকির মুখে পড়েছে। তা নিয়েই সপ্তাহখানেক ধরে চলমান এই উত্তেজনার শুরু।

ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের একটি সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে আপিল শুনানি সামনে রেখে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে গতকাল ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন তারিখ দেয়া হবে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement