২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সন্তানদের প্রতি নজর দিন

-

বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক মা-বাবাই তাদের সন্তানের খোঁজখবর রাখেন না। কখন কী করছে কোনো বিষয়ে ভ্রƒক্ষেপ নেই তাদের। করোনাকালীন সেশনজট ঠেকাতে সরকার অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু তা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা কি কেউ জানি? লক্ষ করা যায়, শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন গেমস কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা অন্যান্য সাইটে বহু সময় পার করছে। আদৌ ক্লাস করছে কি না কে জানে! কেননা, পরিস্থিতি এমন যে, ক্লাসে উপস্থিত থেকে ঘুমালে বা অন্য কিছু করলেও বোঝার উপায় নেই। অনলাইন ক্লাসের বাহানায় মা-বাবাদের বোকা বানিয়ে অনেক সময় ব্যয় করছে অনলাইন গেমসে অথবা চ্যাটিংয়ে, যার কারণে তারা অনলাইনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি তাদের আচার-আচরণও পরিবর্তন হচ্ছে। দিন দিন মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাচ্ছে এবং রাত জাগার প্রবণতা বেড়েছে। বাস্তব দুনিয়া থেকে এরা সবসময় দূরেই রয়ে যাচ্ছে। পাঁচ থেকে সাত বছরের শিশু ‘ফ্রি ফায়ার’ কিংবা ‘পাবজি’তে সময় পার করছে।
দেখা যায়, সদ্য বেড়ে ওঠা শিশুর কান্না থামাতেও হাতে ফোন তুলে দেয়া হচ্ছে, যার ফলে তারা ছোটবেলা থেকেই ফোনের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় মা-বাবার উচিত ছেলেমেয়েদের খোঁজখবর রাখা। এত সময় ধরে অনলাইনে ক্লাস করছে নাকি অন্য কিছু করছে এসব বিষয়ে নজরদারি করা; নিজেদের ব্যস্ততা কাটিয়ে সন্তানদের সাথে সময় কাটানো। ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে অবসর সময়ে সন্তানদের হাতে ফোন না দিয়ে বই তুলে দিন। তাদের সাথে ভালো ও মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
ইন্টারনেট আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই একটি সমস্যা, যার কারণে অনেক ছেলেমেয়েই বিপথে যায়। তাই সন্তানদের প্রতি যতœবান হোন। সন্তানদের ইন্টারনেট আসক্তি কমাতে পরিবারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সিনথিয়া সুমি
শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

 


আরো সংবাদ



premium cement