২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আত্মহত্যা নয়

-

প্রায় নিয়মিতই আত্মহত্যার সংবাদ শোনা যায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে আত্মহত্যা, পরকীয়ার কারণে অশান্তি সৃষ্টি হলে আত্মহত্যা, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে কিংবা অভাবের তাড়না থেকে আত্মহত্যা, কাগজপত্র ভুল আসায় পরীক্ষা দিতে না পারলে আত্মহত্যা, প্রেমে ব্যর্থ অথবা পরিবারের শাসনে হতাশ হয়ে আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দর জীবনের মায়া ত্যাগ করেÑ সমস্যা সমাধানের জন্য ধৈর্য ধরতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেকে, যা কাম্য নয় মোটেও।
আত্মহত্যার বিষয়ে ধর্মীয় কঠোর নিষেধ এবং পরকালীন শাস্তির বিধান থাকলেও মানুষ জাগতিক সমস্যা থেকে দৃশ্যত মুক্তি পেতে জেনেশুনে কেন পরকালীন কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে চায়, তা বোধগম্য নয়। দুনিয়ার যেকোনো সমস্যা ও কঠিন পরিস্থিতি থেকেই পরকালীন শাস্তি অনেক ভয়াবহ। আত্মহত্যাকারী বহু ব্যক্তি মৃত্যুর আগে অনেক ধর্মীয় কথাবার্তাও বলে যায়, কিন্তু নিজেই যে ভুল কাজ করছে সে বিষয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। সমস্যাকে মোকাবেলা করতে ভয় পেয়ে মৃত্যুকে বেছে নেয়া হয়, আত্মহত্যায় মৃত্যু কোনো সমাধান নয়, মুক্তি নয়; বরং আত্মহত্যা সমস্যাগুলোকে আরো জিইয়ে রেখে যায়।
যখনই মনে হবে, আমার আত্মহত্যা করা উচিত, তখনো সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় চেষ্টা করতে হবে, সমস্যাগুলো কাছের মানুষ ও আত্মীয় স্বজনকে বলতে হবে। এভাবেও সমাধান না হলে কিংবা সমস্যা যদি জটিল হয়, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে হবে, সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সাহসের সাথে। জীবনে সমস্যা থাকবেই, সেসব অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে। ব্যর্থতা মানেই জীবন শেষ নয়। সফলতা মানেই কোনো সমস্যা ছাড়া বেঁচে থাকা নয়। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান করে, নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে আত্মহত্যার চিন্তা পরিহার করে বেঁচে থাকার নামই প্রকৃত সফলতা।
জুবায়ের আহমেদ
বিজেম, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement