১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সক্রেটিসের কারাগার

-

সক্রেটিস। একজন বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক। বিশ্বে যত বড় বড় দার্শনিকের জন্ম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম সক্রেটিস। এই গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসকে চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ইউরোপের দেশ গ্রিসে তার জন্ম। এই এথেন্সকে বলা হয় সভ্যতার আঁতুর ঘর। এথেন্সের কোণায় কোণায় কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের ছাপ রয়েছে। এথেন্স শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান অ্যাক্রোপোলিস। বিশ্বের যত পর্যটকই গ্রিস ভ্রমণ করেন, এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস যান না এমন পর্যটক পাওয়া দুষ্কর। এই অঞ্চলে রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসের কারাগার। সেখানে কেটেছিল সক্রেটিসের জীবনের শেষ দিনগুলো, যা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের ভিড় থাকে লক্ষণীয়।
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭০ সালে গ্রিসের এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তরুণদের ভুলপথে চালিত করা, ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। সক্রেটিস এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু প্রাচীন গ্রিসের শাসকরা সক্রেটিসের তত্ত্বগুলোকে মানতে চায়নি। এথেন্সের তৎকালীন আরাধ্য দেবতাদের নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সক্রেটিস। তার বিরুদ্ধে অত্যাচারী শাসকদের সমর্থনেরও অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও বলা হয়, সক্রেটিস নির্দোষ হলেও মুখ বুজে বিচারকদের রায় মেনে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় কারারক্ষীরাও তার জ্ঞানে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারা তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু সক্রেটিস বিনয়ের সাথে না করে দিয়ে বলেছিলেন আজ পালিয়ে গেলে ইতিহাস আমায় কাপুরুষ ভাববে।
পাশ্চাত্য সভ্যতার ইতিহাসে মহান দার্শনিক সক্রেটিসের নাম উজ্জ্বল ও ভাস্বর হয়ে আছে। প্লেটোর বর্ণনামতে- সক্রেটিসের বাবার নাম সফ্রোনিস্কাস, যিনি পেশায় একজন স্থপতি (অন্য মতে: ভাস্কর) এবং মায়ের নাম ফিনারিটি, যিনি একজন ধাত্রী ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম জ্যানথিপ। সংসার জীবনে তাদের তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। অভাবের সংসার বলে সংসার জীবনে খুব একটা সুখী ছিলেন না। সংসারের জ্বালা-যন্ত্রণা ভুলতে তিনি বেশির ভাগ সময় দার্শনিক তত্ত্ব আলোচনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তার নাক ছিল থ্যাবড়া। দেখতেও ছিলেন অনেকটা কুৎসিত। তবে ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। তর্কে ছিলেন তুখোড়। তর্ক করে কেউ তাকে হারাতে পারতো না। তার প্রিয় বাক্য ছিল ‘নিজেকে জানো’। ইন্টারনেট

 


আরো সংবাদ



premium cement