৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মানবতার কল্যাণে জামায়াত আছে এবং থাকবে : ডা: শফিক

-


জামায়াতে ইসলামী আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ জাতি চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহিন উর্ধ্বগতিতে দেশে বর্তমানে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষগুলো ঠিকমতো দুমুঠো ভাত খেতে পারছে না। এরই মধ্যে সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষগুলো কষ্টে দিনাতিপাত করছে। জামায়াত সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কারণ জামায়াত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চায়। যেকোনো দুর্যোগে মানবতার কল্যাণে জামায়াত ইসলামী ছিল, আছে এবং থাকবে। সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে চায়। আর ইনসাফভিত্তিক সমাজ ছাড়া সমাজের শ্রেণীবৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। হামলা-মামলা, জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করা থেকে আমাদের বিরত রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে জামায়াত সামর্থ অনুযায়ী বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশা আল্লাহ। জামায়াতের ভালো কাজ একটি গোষ্ঠীর পছন্দ হয় না। তাই তারা জামায়াতের ওপর জুলুম নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবুও জামায়াত তার লক্ষ্য থেকে একচুলও পরিবর্তন হয়নি। আদর্শিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েই জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। সীমাহীন জুলুম নিপীড়ন, হামলা-মামলা, খুন-গুম ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়। ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতের এই পথচলা থামিয়ে দেয়ার সাধ্য কারো নেই। মানবতার কল্যাণে জামায়াত কাজ করে যাবেই। ইনশা আল্লাহ।
তিনি গত শুক্রবার সিলেট মহানগরীর শাহপরান পশ্চিম থানার ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর কুশিঘাট এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঢেউটিন বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। থানা আমির শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ডেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও নায়েবে আমির মাওলানা সোহেল আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার সোহেল আহমদ রিপন, ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আহমদ আল মাসুদ, ২১ নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহিম আহমদ মুহিম, ২২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু হাসান ও ৩২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার পদপ্রার্থী সৈয়দ ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে রফিকুল ইসলাম খান
ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামান্যতম কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব সংশয় থাকার কোনো সুযোগ নেই। জীবনে দুনিয়ায় সকল কাজের ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইসলামী আন্দোলনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়ের মতো মুনাফেকি চরিত্র থাকলে পরকালে জান্নাত লাভের কোনো সুযোগ নেই। একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো মহান আল্লাহকে ভয় করে চলা। দুনিয়ায় কোনো শক্তিকে একজন মুমিন কখনো ভয় করতে পারে না। রমজানের যে মূল শিক্ষা সেটা হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে পূর্ণ আনুগত্য করতে হবে, আল্লাহ যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তাঁর রাস্তায় খরচ করতে হবে এবং ঈমানের ব্যাপারে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা, সন্দেহ -সংশয় থাকা যাবে না। এসব ব্যক্তিই পরকালে সফলতা লাভ করবে। একজন ব্যক্তির ঈমান আনলে রসুলুল্লাহ সা: এর যে কাজ তারও সেই কাজ। তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে গিয়ে নবী-রাসুলগণের বিপক্ষে বাধা দানের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বাতিল শক্তি ইসলামের দুশমনেরা দীনি হককে পরাজিত করতে চায়। আল্লাহ নবী রসুলকে এজন্য পাঠিয়েছেন তাঁরা জাহান্নামের ভয় ও জান্নাতের সুসংবাদ দিবেন। আমাদেরকেও সেই দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। গত রোববার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে স্থানীয় মিলনায়তনে এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা কেরামত আলির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডলের সঞ্চালনের এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আলোচনা রাখেন, রাজশাহী জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড.আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল। বিজ্ঞপ্তি।

মাহে রমজানের শিাকে মডেল হিসেবে নিতে হবে -সাইফুল আলম খান মিলন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দণি পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, পবিত্র মাহে রমজানের শিাকে আগামী এগারো মাসের মডেল হিসেবে নেয়ার জন্য জামায়াতের নেতাকর্মীদের মনোযোগী হতে হবে। তিনি ইসরাইলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের পাশে থাকতে মুসলিম উম্মাহকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি গতকাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দণি আয়োজিত ভার্চুয়াল ঈদ পুনর্মিলনীতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এ বি এম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির মো: শাহিনুর ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের সভাপতি ডা: শহিদুজ্জামান, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, আবদুর রহিম মজুমদার প্রমুখ। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সৎ, দ এবং যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া দেশকে উন্নয়নের রাজপথে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। মূলত সৎ-দ এবং যোগ্য নেতৃত্বের জন্য দেশ ও জাতি অধীর আগ্রহে আপেক্ষা করছে। তাই এ দেশকে রার জন্য জামায়াতের সব জনশক্তিকে সৎ, দ এবং যোগ্য নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।

অধিকার হারা জনতার আর্তনাদে ঈদ অর্থবহ হয়নি : ড. রেজাউল করিম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী, দখলদার, অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে সকলে রাজপথে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি গতকাল লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আমীর আবু বকর সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমির এম এস মোল্লা ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন নাজমুল ইসলাম শামীম। আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা সহকারী মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ছাত্রশিবির নেতারা, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরাম নেতারা, স্থানীয় প্রবাসীরা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এ ছাড়াও ৯ নম্বর উত্তর জয়পুর দত্তপাড়া, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, দিঘলি, কূশাখালী, হাজিরপাড়া ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ড. রেজাউল করিম গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement