২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ওআইসি মহাসচিবের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য অর্থসহযোগিতার আহ্বান

-

রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার খরচ চালাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা যৌথভাবে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওআইসির মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এ কথা জানান। তাহা পাঁচ দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকা এসে পৌঁছান। তিনি ইসলামী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে আজ সোমবার কক্সবাজার যাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওআইসি মহাসচিবের সাথে বৈঠকে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংহতি শক্তিশালী করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে নানা কারণে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনেক দেশের দ্বৈত অবস্থান রয়েছে। এছাড়া মুসলমানদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বন্ধ করতে পারলে মুসলমানদের আরো উন্নতি হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দূর করার জন্য ওআইসি বহুদিন ধরে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।
হিসেন ব্রাহিম তাহা বলেন, ওআইসির জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ওআইসির অগ্রাধিকারে থাকা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি বজায় রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে আমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা দুর্ভোগে রয়েছে। তারা শান্তি ও নিরাপদে থাকার অধিকার রাখে। রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর করার অনেক কিছুই আছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল ক্রমাগতই কমে আসছে। এ ব্যাপারে ওআইসি কি ভূমিকা রাখতে পারে- জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের মূল দায়িত্ব জাতিসঙ্ঘের। তহবিল ঘাটতির কারণে আমরাও উদ্বিগ্ন। ওআইসির মহাসচিব হিসেবে আমি সব সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সফরকালে আমি রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়তি কিছু করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। গাম্বিয়া ধনী কোনো রাষ্ট্র নয়। কিন্তু তারা রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণে গাম্বিয়াকে আইসিজেতে মামলা পরিচালনার খরচ জোগাতে আমি ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। রোহিঙ্গাদের জন্য ওআইসি সম্ভব সবকিছুই করছে।
মহাসচিব জানান, আইইউটি একটি সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে এতে অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসে।

 


আরো সংবাদ



premium cement