২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসে আলোচনা

সিজারিয়ান শিশু কমাতে হলে মিডওয়াইফদের কাজে লাগাতে হবে

-

অপ্রয়োজনীয় সি-সেকশনে বা সিজারিয়ানে শিশু জন্মানো কমাতে হলে মিডওয়াইফদের বা প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু নানা ধরনের বাধায় মিডওয়াইফারি পেশাজীবীরা কাজ করতে পারছেন না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্মদানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এডিজি) অর্জন করতে হলে দেশে আরো কমপক্ষে ২২ হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ দিতে হবে।
গতকাল রোববার বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ আয়োজিত নিরাপদ মাতৃত্ব ও মিডওয়াইফদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে তিন হাজার মিডওয়াইফ রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার মিডওয়াইফ কাজ করছেন। কিন্তু দেখা গেছে, নানা ধরনের বাধায় মিডওয়াইফরা নিরাপদ সন্তান জন্মদানে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। উপরন্তু মিডওয়াইফদের নার্সিংসহ অন্যান্য কাজে খাটানো হচ্ছে, যা কাম্য নয়।

এ ব্যাপারে একটি সমীক্ষা উল্লেখ করে ব্র্যাক জিমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কাইয়ুম বলেন, ৩৪ শতাংশ মিডওয়াইফদের সরকারি হাসপাতালে নার্সিং কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অপর দিকে বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ শতাংশ মিডওয়াইফদের নার্সিংদের কাজ করাচ্ছে। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে ২২ শতাংশ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২৯ শতাংশ মিডওয়াইফদের মিডওয়াইফারি ছাড়া অন্যান্য কাজ করানো হচ্ছে। এর বাইরে সরকারি হাসপাতালে ৮ শতাংশ এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ শতাংশ মিডওয়াইফদের অপারেশন থিয়েটারে কাজ করাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, সন্তান ভূমিষ্ঠের জন্য আসা মায়েদের ব্যথা হলে প্রথমে তাদের মিডওয়াউফদের কাছে পাঠাতে হবে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য। কিন্তু জটিলতা দেখা দিলে মিডওয়াইফ সেই মাকে অবস অ্যান্ড গাইনির চিকিৎসকদের কাছে পাঠাবেন অস্ত্রোপচারের জন্য। কারণ কিছু কিছু মাকে বাঁচাতে হলে অস্ত্রোপচার করতেই হবে। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারকে এখন বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অত্যাবশ্যক করে নিয়েছে। সেখানে অস্ত্রোপচার ছাড়া এখন আর কোনো শিশুর জন্ম হচ্ছে না। বক্তারা বলেন, অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির হেড অব মিডওয়াইফারি ডা: শারমিনা রহমান, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement