প্রজ্ঞাপনকে পাত্তা না দিয়ে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়
যাত্রীদের সাথে বাগবিতণ্ডা
ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাড়তি ভাড়ার নামে দেশব্যাপী গণপরিবহনে শুরু হয়েছে অরাজকতা। সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনকে পাত্তা না দিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। কোনো কোনো পরিবহন কর্তৃপক্ষের আচরণকে রীতিমতো গলাকাটা বলে দাবি করছেন তারা। মহানগরীতে চলাচলরত বাস মিনিবাস থেকে শুরু করে দূরপাল্লার বাসেও চলছে এই অরাজকতা। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাড়ার চার্ট বাসে টাঙিয়ে রাখার কথা বলা হলেও কোনো বাসেই তা দেখা যায়নি। উল্টো প্রজ্ঞাপনের কথা বলে ভাড়া কমানোর দাবি তোলা নিয়ে যাত্রীদের সাথে বাস শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডার খবর পাওয়া গেছে। এ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা আইন লঙ্ঘন করে নতুন নির্ধারিত বাসভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
উত্তরা থেকে মতিঝিলে আসা গ্রিন ঢাকা পরিবহনের যাত্রী শামসুল ইসলাম বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া দুই টাকা ৫০ পয়সা হারে ধরলে যার ভাড়া হওয়ার কথা ৫০-৬০ টাকা। অথচ এসির নাম করে বাসটি প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে ১৫০ টাকা করে, যা এই প্রজ্ঞাপনের আগে নেয়া হতো ১২০ টাকা করে। তিনি আরো বলেন, সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনে এসি বাসের ক্ষেত্রে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আরামদায়কের জন্য আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হলে তার ভাড়া নির্ধারণের আগে বিআরটিএ বা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আনুপাতিক হারে পাস করিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এসব পরিবহন তা তোয়াক্কা না করেই যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে।
অপর যাত্রী আল আমিন বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছে কমপক্ষে ২০ জায়গা থেকে যাত্রী তোলা হয়। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হয় দুইভাবে। উত্তরা থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত ১০০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৫০ টাকা। কোনো যাত্রী উত্তরা থেকে বসুন্ধরা পার হয়ে বাড্ডা নামলেও তাকে ১৫০ টাকাই ভাড়া দিতে হয়।
মিরপুর থেকে ফিরোজ রহমান বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাড়া ৫ টাকা বাড়ানো হলে বাস কর্তৃপক্ষ আদায় করছে ১০ টাকা। গেলে যাও না গেলে হাঁটো এমন একটা অবস্থা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাধ্য কার আছে? অভিযোগ দেয়ারও কোনো জায়গা নেই। তাই তারা যা করছে, মুখ বুজে সহ্য করে নিতে হচ্ছে। এটাতো মগের মল্লুক। এখানে যা খুশি তা-ই করা যায়।
একই অবস্থা চলছে দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রেও। মহাখালী বাসটার্মিনালে যাত্রীদের কাছ থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে কাউন্টারগুলো। ভাড়া বাড়ানোর খবরে কোনো কোনো রুটে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেয়া অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে বাসমালিকরা। ফলে কাউন্টারে এসে টিকিট কাটতে গিয়ে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে যাচ্ছেন। ভাড়া গুনে অনেক যাত্রী গন্তব্যে যাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। কারণ বাসমালিকরা রুট অনুসারে নতুন করে সর্বনিম্ন ৬০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছে। তবে কোনো কাউন্টারে নতুন ভাড়ার কোনো তালিকা চোখে পড়েনি।
মহাখালী বাসটার্মিনালের কাউন্টারগুলো থেকে বলা হচ্ছে, তেলের দাম বাড়ায় বাসভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে। বাসমালিকরা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন তারা সে দায়িত্ব পালন করছে। মহাখালী থেকে বগুড়া হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একতা পরিবহনের কাউন্টারে ৭০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। অর্থাৎ ১৫০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। একতা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, মহাখালী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দূরত্ব ৩২৮-৩৩০ কিলোমিটার। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১৫০ টাকা। অথচ দূরত্ব অনুসারে ভাড়া সর্বোচ্চ ১৩২ টাকা বাড়ার কথা।
ঢাকা থেকে পাটগ্রাম হয়ে বুড়িমারী যায় এস আর ট্র্যাভেলস। এই পরিবহনটি ঢাকা থেকে বুড়িমারীর যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। পরিবহনটির কাউন্টার মাস্টার অনিক চক্রবর্তী বলেন, শুক্রবার বুড়িমারীর টিকিটের মূল্য ছিল ৮৫০ টাকা। আজ থেকে এই টিকিট বিক্রি করছি ১১০০ টাকা। ২৫০ টাকা দাম বেড়েছে। বগুড়ার ৪৫০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। যাত্রীরা বলছেন, সরকার যা বাড়িয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি নিচ্ছে বাসমালিকরা। আমাদের ফকির বানাচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। মহাখালী থেকে সিলেটের হবিগঞ্জের যাত্রী সামসুল হক বলেন, ভাড়া ১০০ টাকা বেড়েছে, আগের টিকিটির মূল্য ছিল ৩৫০ টাকা। আজকে সেই টিকিট কিনেছি ৪৫০ টাকায়।
এ দিকে নতুন করে দেয়া বাসভাড়া প্রত্যাহারের দাবি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ করে নতুনভাবে বাসভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, একচেটিয়াভাবে বর্ধিত তেলের মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন যখন মাঠে আন্দোলনরত, ঠিক তখনই, জ্বালানির মূল্য প্রত্যাহারের দাবি না তুলে বাসমালিকরা সরকারের সাথে মিলে বাসভাড়া বাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, গেল নভেম্বরে জ্বালানি তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির সময় বাসভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর ৯ মাসের মাথায় আবারো জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ ছাড়াই এক লাফে বাসভাড়া আবারো ২২ শতাংশ বাড়ানো হলো। প্রতিটি পুরনো লক্কড়-ঝক্কড় বাসকে শোরুম থেকে নামানো নতুন বাসের দাম, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য নতুন বাসের সুযোগ-সুবিধার হিসাব ধরে ব্যয় বিশ্লেষণ করা হলেও সিটি সার্ভিসে ৯৮ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচলের অযোগ্য। আন্তঃজেলা দূরপাল্লার ৪৮ শতাংশ বাস ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। পুরনো এসব বাসের যাত্রীসেবার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তিনি নতুন ও পুরনো বাসের আলাদা ব্যয় বিশ্লেষণ ও আলাদা ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, বাসমালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও সরকারনির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সরকারনির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অথচ এসব বাসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। সিটি সার্ভিসে সরকার কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করলেও বাসে বাসে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুনে গুনে ভাড়া আদায় করা হয়। ঢাকা মহানগরীর কথিত সিটিং সার্ভিসে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করলেও সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।
এ পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশের যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের কথা বলতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বাসভাড়া নির্ধারণের সভায় প্রতিনিধিত্ব করতে বারবার আবেদন করলেও সরকার বাসমালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়াই বারবার বাসভাড়া নির্ধারণ করে থাকেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ৬ আগস্ট সারা দেশে বাস ও মিনিবাসের জন্য নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার পথে ভাড়া ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
সিলেটে দূরপাল্লার বাসভাড়ায় সমন্বয় নেই
সিলেট ব্যুরো জানায়, সড়কপথে সিলেট থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৪৪ কিলোমিটার। আগে এই দূরত্বের বাসভাড়া নেয়া হতো ৫৭০ টাকা (৪০ আসনের বাস)। এখন বর্ধিত ভাড়ায় বিভিন্ন পরিবহনগুলোয় ৬৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া রাখা হচ্ছে।
পরিবহনশ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিলেট থেকে ঢাকায় যাতায়াত করা বাসের আসনসংখ্যা থাকে ৩৬ থেকে ৪০। ভাড়া নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে কিলোমিটারপ্রতি নির্ধারিত যে ভাড়ার হিসাব দেয়া হয়েছে, সেটি ৫২ আসনের বাসের। দূরপাল্লার বাসে ৫২ আসন না থাকায় ৪০ আসনের বাসের হিসাব ধরলে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া হয় ২ টাকা ৮৬ পয়সা। সে হিসাবে ভাড়া হয় প্রায় ৬৯৮ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, একেকটি পরিবহনে একেক ধরনের ভাড়া রাখা হচ্ছে। কিছু পরিবহনের বাস ৬৮০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে যাত্রী পরিবহন করছে। আবার কিছু পরিবহন ৭০০ টাকায় যাত্রী নিচ্ছে। তবে বিরতি দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন পরিবহনে ভাড়া আরো কম রাখা হচ্ছে। সেগুলোতে ভাড়া রাখা হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। আগে এসব পরিবহন ৪৫০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করত। রোববার সকাল ১০টায় কদমতলী এলাকার হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের টিকিটবিক্রেতা শিপন আহমদ বলেন, আগে আমাদের জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৫৭০ টাকা। এখন আমরা ৭০০ টাকায় যাত্রী নিচ্ছি। এখনো আমাদের কাছে ভাড়ার কোনো তালিকা আসেনি। আশা করছি, বিকেলের দিকে তালিকা চলে আসবে।
টিকিট কাউন্টারে সালমান মিয়া ও সাদিকুর রহমান নামে দুই বন্ধু ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কাটছিলেন। ঢাকায় চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে যাচ্ছেন তারা। তারা বলেন, হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। একলাফে জনপ্রতি ১০০ টাকার বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। নগরের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে এনা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে থাকা বিক্রেতা সামু আহমেদ বলেন, আগে ৫৭০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করা হলেও নতুন বর্ধিত ভাড়ায় ৬৮০ টাকায় যাত্রী নেয়া হচ্ছে, তবে তালিকা আসেনি। তালিকা এলে ভাড়া কিছুটা কম-বেশি কিংবা একই হারে থাকবে।
কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে আল-মোবারাকা পরিবহনের আবদুর রহিম বলেন, আমরা আগে ৪৫০ টাকায় ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করতাম। কিন্তু এখন বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: জিয়াউল কবির বলেন, অনেকে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়ার হিসাব গরমিল করে বসেন। ভাড়া নির্ধারণ কমিটির হিসাবে ৫২ আসনের বাসের ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দূরপাল্লার পরিবহনে ৫২ আসনের বাস নেই। সিলেট থেকে ঢাকা যাতায়াত করা বাসগুলোর আসনসংখ্যা ৩৬ থেকে ৪০। সে হিসাবে ২ টাকা ৮৬ পয়সা কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া হয়। তিনি বলেন, এখন ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় ঢাকার যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ভাড়ার তালিকা এখনো ছাপা হয়নি। তালিকা ছাপানোর পর ভাড়া সমন্বয় করে নির্ধারণ করা হবে।
বগুড়ায় নৈরাজ্যকর অবস্থা
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর বাসভাড়া নিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ও আন্তঃজেলায় চলাচলকারী বাসগুলো একেক রুটে একেক ভাড়া হাঁকছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে কথাকাটাকাটির ঘটনাও ঘটছে। ভাড়া বৃদ্ধি করেছে ইচ্ছেমতো।
জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির আগে বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বুলেট এসি বাসে ভাড়া ছিল ৭০০ টাকা। এখন তা বেড়ে করা হয়েছে ৯০০ টাকা। সাধারণ এসি বাসে আগে ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা এখন ভাড়া করা হয়েছে ৭০০ টাকা। এসি হুন্দাই কোচে ছিল আগে ১০০০ টাকা এখন বেড়ে ১৩০০ টাকা করা হয়েছে। নন এসি ছিল ৪৫০ টাকা এখন ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে ভাড়া বেড়েছে জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের।
বগুড়ার হানিফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সাব্বির হোসেন পিন্টু জানান, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ঢাকাগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, সবগুলো বাস কাউন্টার ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা