১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


বেসরকারির তুলনায় সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন দ্বিগুণ

আরো ২ দিন সময় বাড়িয়েছে মাউশি
-

বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলেই সন্তানকে ভর্তি করাতে আগ্রহ বেশি অভিভাবকদের। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পরীক্ষার পরিবর্তে এবারো লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে শিক্ষার্থী। গত দুই সপ্তাহ ধরেই চলছে অনলাইনে আবেদন। এতে দেখা গেছে বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলে আবেদন জমা পড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে এক নির্দেশনায় সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সরকারি স্কুলে ১০ ডিসেম্বর ও বেসরকারিতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল বুধবার আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটা সরকারি স্কুলে ১০ ডিসেম্বর ও বেসরকারিতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশের সাড়ে তিন শ’ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮০ হাজারের বেশি আসন রয়েছে। আর বেসরকারি দুই হাজার ৬৮১ স্কুলে সাড়ে ৮ লাখ আসনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীতে ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অধিক আগ্রহ থাকায় সেখানে প্রতি আসনে সাতজনের মতো আবেদন জমা হলেও বেসরকারি স্কুলের মোট আসনের অর্ধেক আবেদনই জমা পড়েনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আবেদনের সময় বাড়ানোর কারণে এই সংখ্যা আরো বাড়বে।
মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিদফতরের জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মাউশি সূত্র জানায়, সারা দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৯ হাজার ১১৭টি পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে। বেসরকারিতে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশের সাড়ে তিন শ’ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৮০ হাজারের বেশি শূন্য আসন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে রয়েছে ৪৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বেসরকারির মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির জন্য দুই হাজার ৬৮১ বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪টি শূন্য আসন রয়েছে। সরকারিতে একটি আসনের বিপরীতে সাত আবেদন জমা পড়লেও বেসরকারিতে শূন্য আসন পরিমাণের অর্ধেকও জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে মাউশির উপপরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদককে বলেন, অভিভাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিদেশে থাকায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়নি বলে কেউ কেউ আবেদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া অন্যান্য কারণে অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কেউ কেউ আবেদন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি পাসপোর্ট ও মোবাইল নম্বর যুক্ত করে আবেদন করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। উল্লিখিত যেকোনো একটি নম্বর দিয়ে এখন স্কুলে ভর্তির আবেদন করা যাবে। এ নির্দেশনা মাউশির ওয়েবসাইট ও সব জেলায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সরকারি মাধ্যমিকে আবেদন বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান ভালো। আবার সেখানে শিক্ষার্থী ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম বলে অভিভাবক-শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তি। সেখানে সুযোগ না হলে পরে বেসরকারিতে ভর্তি হয়।
উল্লেখ্য ভর্তির ক্ষেত্রে এ বছরও বিদ্যালয় থেকে কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সে জন্য যেতে হবে মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ এই ঠিকানায়। এখান থেকে সরকারি বা বেসরকারি অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমে যেতে হবে। এ পর্যায়ে যেসব তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো দেয়ার পর ছবি দিতে হবে। ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রিপেইড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল