২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রামেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব দুই মাস ধরে বন্ধ

-

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেলে গত বছরের ১৯ মে ল্যাবটি চালু করা হয়। এ ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি এ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর থেকে ল্যাবটি বন্ধ রয়েছে। তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) পিসিআর ল্যাবটিতে এখন চার শিফটে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালের ল্যাবটি বন্ধ থাকায় কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার চাপ বেড়েছে।
রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে এলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ল্যাবটিতে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের যেসব কর্মী এনে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবটি চালানো হচ্ছিল তাদের পুনরায় নিজ নিজ জায়গায় ফেরত পাঠানো হয়। তবে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে রাজশাহীতে এখন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চললেও ল্যাবটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে চার শিফটে রাজশাহী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তিনটি জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই এখানে নমুনার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দিনের পরীক্ষা দিনে করা যাচ্ছে না। নমুনা জট শুরু হয়েছে। বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: নওশাদ আলী সাংবাদিকদের জানান, যে জনবল রয়েছে তাতে রামেক ল্যাবে দুই শিফটে কাজ করা সম্ভব। কিন্তু নমুনার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চার শিফটে কাজ করতে হচ্ছে। চার শিফটে সর্বোচ্চ ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু চাপ বেড়ে যাওয়ায় চার শিফট কাজ করার পরও উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে তিন শতাধিক নমুনা। তাই হাসপাতালের ল্যাবটিও চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক এস এম হাসান এ লতিফ সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের ল্যাবটি যে কোনো সময় চালু করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে নমুনা কমে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন এটি চালু করতে জনবল দরকার। চাহিদামাফিক জনবল পেলেই তারা ল্যাব চালু করতে পারেন বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement