২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলা একাডেমির ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

-

বাংলা একাডেমির ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও বাংলা একাডেমির পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অসমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং সাড়ে ১০টায় বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ডা: মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বেলা ১১টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘সবার আগে সংস্কৃতিক সবার সঙ্গে সংস্কৃতিক’ শীর্ষক বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা দেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্প্রতি মারা যাওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সুরক্ষা এবং বিকাশের জন্য। ছয় দশকের পরিক্রমায় আমরা এ কথা দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করতে পারিÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সুরক্ষা বিধানের একাডেমিক দায়িত্ব পেরিয়ে বাংলা একাডেমি আজ আক্ষরিক অর্থেই বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠান।
একক বক্তা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, সংস্কৃতি একাই গড়ে উঠে, সাংস্কৃতিকে বানানো যায় না। বাঙালির সংস্কৃতি জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিস্তৃত- অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি, সমাজ, ধর্ম। এর যা কিছু বাঙালি সংস্কৃতিক প্রতিকূল, তার স্থান এখানে হবে না। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসনামলে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের দুই দশকের সংগ্রামকে তাই চিহ্নিহ্নত করা যায় ভাষা-আন্দোলন নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের পরিণতিরূপে। পূর্ব বাংলার মানুষ তার সংস্কৃতিক কারণেই পাকিস্তানকে মন থেকে গ্রহণ করতে পারেনি; সংস্কৃতিই পূর্ব বাংলার মানুষকে ‘পাকিস্তানি’ হতে দেয়নি।
সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, সংস্কৃতি এক চলমান ও জীবন্ত বিষয়, একে কোনো সংজ্ঞায় আবদ্ধ করা যায় না। গতিময়তাই এর নান্দনিকতা। বাংলা একাডেমি বাঙালির জীবনে সংস্কৃতির সংগ্রামকেই সার্থক করে তুলেছে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যতদিন বাংলাদেশ স্থিত থাকবে, ততদিনই বাংলা একাডেমি তার প্রকৃত মহিমায় উজ্জ্বল থাকবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক নূরুন্নাহার খানম। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement