২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জাতিসঙ্ঘকে মহীসোপান সীমার তথ্য দিলো বাংলাদেশ

দিমিত্রি গংচারের কাছে মহীসোপান সীমার তথ্য হস্তান্তর করছেন রাবাব ফাতিমা : নয়া দিগন্ত -

বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমাসংক্রান্ত সংশোধিত তথ্য জাতিসঙ্ঘকে দিয়েছে বাংলাদেশ। মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্রতলদেশের খনিজসম্পদ উত্তোলন ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
গতকাল শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মহীসোপান সীমাসংক্রান্ত সংশোধিত এসব তথ্য হস্তান্তর করেন বিশ্বসংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। সংশোধনীটি জাতিসঙ্ঘের মহীসোপন সীমাবিষয়ক কমিশনের পরবর্তী অধিবেশনে এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান তিনি।
২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসঙ্ঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান সীমাসংক্রান্ত মূল তথ্যাদি দাখিল করেছিল বাংলাদেশ। সমুদ্রসীমা নির্ধারণবিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলার নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চূড়ান্ত হয়। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত এই সাফল্যের সুফল নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে মহীসোপন সীমাসংক্রান্ত তথ্যাদি সংশোধন করা হলো।
নিয়মানুযায়ী জাতিসঙ্ঘের মহীসোপান সীমাবিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিলকৃত তথ্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করবে এবং পরে সন্তুষ্টিসাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশমালা দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপান সীমা সংশোধনীবিষয়ক দলিলপত্রগুলো প্রস্তুত করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement