রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের চাপায় মাহমুদুন্নবী চৌধুরী (৫১) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী টোল প্লাজার কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গেন্ডারিয়া থানার ওসি সাজু মিয়া জানান, বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি হচ্ছিল। মাহমুদুন্নবী চৌধুরী মোটরসাইকেলে শনির আখড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। তখন সাগরিকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত মাহমুদুন্নবী ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিলেন। গত সংসদ নির্বাচনে তিনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর আসন থেকে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি। দুই সন্তানের বাবা মাহমুদুন্নবী পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই ছিলেন। ঢাকার আজিমপুর, পল্লবী ও শনির আখড়ায় তার নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় করতেন। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করলেও চালককে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নানীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া হলো না তানিম-তাফিমের : ঈশ্বরদী সংবাদদাতা জানান, নানীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া হলো না তানিম-তাফিমের। ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তানিম (২৩) নামে এক যুবক নিহত এবং তার ছোট ভাই তাফিম (১৫) মারাত্মক আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতু মহাসড়কের কোলেরকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা উভয়ই দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের খালেদ খানের ছেলে ও দাশুড়িয়া এম এম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা গোলাম রব্বানি খান জুবায়েরের ভাতিজা।
স্থানীয়রা জানান, তানিম এবং তাফিম মোটরসাইকেলে পার্শ্ববর্তী মিরকামারী গ্রামে নানীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছিল। পথে কোলের কান্দির সমিলের সামনে পৌঁছলে একটি অটোরিকশার সাথে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ভাই রাস্তায় ছিটকে পড়ে। সে সময় পেছন থেকে দাশুড়িয়া দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তানিমকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতের ছোট ভাই তাফিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা