২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রোহিঙ্গাদের আলাদা ডাটাবেজ

ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ কমিটি

-

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক তথ্যসহ আলাদা রোহিঙ্গা ডাটাবেজ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এনআইডি নিতে যেসব দলিল লাগে সেগুলো কিভাবে রোহিঙ্গারা পায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এনআইডি ডিজি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনুসন্ধানে একটি টিম পাঠানো হয়। পরে অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কারিগরি কমিটি এবং একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রয়েছে। অধিকতর তদন্তের সুবিধার্থে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটিতে বহিঃসংস্থার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডিজি বলেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি রোধ একার দায়িত্ব না। এটা সামগ্রিক বিষয়। এটি নিয়ে বিশেষ কমিটি কাজ করছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। ইসির কর্মকর্তাদেরও নজরদারি করা হচ্ছে। দ্বৈত ভোটার নিবন্ধন রোধে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্বৈত ভোটার পাওয়া গেলে প্রাথমিকভাবে বিধি মোতাবেক প্রথমটি রেখে পরবর্তী ভোটার তথ্য ব্লক করে দেয়া হয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্য গোপন করে দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৯২৭ জনের এনআইডি লক করাসহ ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ ও ১৫ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ফৌজদারি মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছে। এ ছাড়াও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ধারা ১৬ ও ১৭ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুই লাখ ৭ হাজার দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করেছি। সবার বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেখছি, উদ্দেশ্য কী ছিল? তবে আমরা সবার বিরুদ্ধে মামলা করিনি, করবও না। যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। তবে কেউ যদি সে বিষয়ে কমিশনে আবেদন করেন, সেটি আমরা যাচাই-বাছাই করে কারণ জানব যে কোন উদ্দেশে তারা এটি করেছে। সেটি আমরা কমিশনকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেবো। যারা দ্বৈত ভোটার হয়েছেন আমরা তাদের নোটিফাইড করছি। এসএমএসের মাধ্যমেও তাদের জানিয়ে দিচ্ছি।
তথ্য গোপন করে দ্বৈত ভোটার হওয়ায় ডা: সাবরিনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডা: সাবরিনার দু’টি এনআইডি লক করা হয়েছে। গুলশান থানা নির্বাচন অফিসারকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে মামলা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। বাড্ডা থানায় মামলা করা হয় গত ৩০ আগস্ট। ডা: সাবরিনা কিভাবে দুইবার ভোটার হয়েছেন এবং তার সাথে কেউ জড়িত আছে কি নাÑ তা তদন্তের জন্য বিসিসি ও বুয়েট প্রতিনিধিসহ আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement