২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার লক্ষণ রয়েছে রাজধানীর ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে

-

রাজধানী ঢাকার ২ শতাংশ মানুষ এবং ৫ শতাংশ খানার (হাউজহোল্ড) লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে। রোগতত্ত্ব¡ রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উদ্যোগে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে গত ৫ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত একটি সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আইইডিসিআর আইসিডিডিআর,বির সহায়তায় পরিচালিত সমীক্ষায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মোট তিন হাজার ২২৭টি খানা (হাউজহোল্ড) দৈব চয়নের মাধ্যমে বেছে নেয়া হয়। এই খানাগুলোর মধ্যে মোট ২১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ ছিল। এদের ১৯৯ জনের আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়েছিল। আবার করোনার লক্ষণ রয়েছে যে খানা থেকে ৪৩৫ জন পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণই ছিল না। এদের মধ্যে ২০১ জনের পরীক্ষা করেই করোনামুক্ত পাওয়া যায়। অন্য দিকে করোনা নেই এমন খানা থেকে ৮২৭ জনকে শনাক্ত করা হয়, যাদের করোনার লক্ষণ ছিল না। আবার এদের ৫৩৮ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষায় নির্ধারিত তিন হাজার ২২৭ খানার মধ্যে ৭২০টি খানা নির্ধারণ করা হয় ছয়টি বস্তি এলাকা থেকে।
সমীক্ষায় লক্ষণযুক্ত খানা থেকে ১৪ শতাংশ লক্ষণহীন মানুষ এবং ৮ শতাংশ লক্ষণহীন মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হিসেবে (কোভিড-১৯ আরটি পিসিআর পজিটিভ)। সর্বোপরি সমীক্ষার জন্য ঢাকার সিটি করপোরেশনের খানাগুলো (হাউজহোল্ড) পরিদর্শনের সময় ৯ শতাংশ মানুষের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। পরিদর্শনের সময় বয়সের ভিত্তিতে ৪০-এর কোটার মানুষগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যককে করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে এবং এরা মোট আক্রান্তের ১৩ শতাংশ। এরপরই ১৫ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যককে করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। কিশোর-কিশোরীরা আক্রান্ত ছিল ১২ শতাংশ। ১০ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৬ শতাংশ।
আইইডিসিআরের সমীক্ষায় যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে তাদের ৯৩ শতাংশের জ্বর ছিল, ৩৬ শতাংশের কাশি ছিল, ১৭ শতাংশের মধ্যে গলা ব্যথা ছিল এবং কেবল মাত্র ৫ শতাংশকে পাওয়া গেছে যাদের শ্বাসকষ্ট ছিল করোনা পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই। করোনা পজিটিভ এবং যাদের মধ্যে লক্ষণ ছিল তাদের ১৫ শতাংশকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। সমীক্ষায় অংশ নেয়া খানাগুলোর মধ্যে এক মাসের নজরদারির মধ্যে মাত্র একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। মৃত্যুবরণকারী ওই ব্যক্তির লক্ষণ ছিল এবং তাকে হাসপাতালেও নেয়া হয়েছিল। আইইডিসিআর সমীক্ষার সংক্ষিপ্ত ফলাফলে জানিয়েছে, বস্তিবাসীর মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এটা মোট সংখ্যার চেয়ে কম।

 


আরো সংবাদ



premium cement