২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

না’গঞ্জে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি

ফতুল্লায় দু’টি ভবনধস
-

নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। শীতলক্ষ্যা, ধলেশ^রী ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে তা লোকালয়ে প্রবেশ করেছে । এতে করে তলিয়ে গেছে একটি বাজার, দেড়শতাধিক বাড়ি। পানির জোয়ারে ধসে গেছে দুু’টি ভবন ও একটি কালভার্ট । নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও নাহিদা বারিক বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় রাস্তা ভেঙে বুুড়িগঙ্গা নদীর পানি প্রবেশ করে একটি একতলা ভবন ধসে গেছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫০টি বাড়ি। একই সাথে ধলেশ^রী নদীর পানির জোয়ারে একটি ভবন ধসে গেছে। এ ছাড়া একটি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
অন্য দিকে বন্দর এলাকায় শীতলক্ষ্যার পানি নদীর পার্শ্ববর্তী একটি বাজার তলিয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সাধারণ মানুষ বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় একটি বুড়ীগঙ্গা নদীর পানি তীব্র ¯্রােত এসে একতলা ভবনে আঁছড়ে পড়ে। এতে মুহূর্তের মধ্যে পুরো একতলা ভবনটি ধসে যায়। তবে ঘরে থাকা বাসিন্দরা কোনোরকমে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।
বিধ্বস্ত বাড়ির বাসিন্দা মিঠু জানান, আমার সমন্ধী রতন দেড়বছর আগে মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে ধর্মগঞ্জ বুড়ীগঙ্গাসংলগ্ন ২০ ফুট রাস্তাটি নদীর পানির চাপে ভেঙে যায়। ওই সময় পানি স্রোতে ধসে যাওয়া বাড়িটির পাশে থাকা একটি গলিরাস্তা দিয়ে তীব্র গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে। ওই সময় ওই রাস্তায় মাটি ও বাড়ির নিচে বালু সরে গিয়ে বাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে ধসে পড়ে।
অন্য দিকে শহর ওপার বন্দর এলাকায় শীতলক্ষ্যা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড়ে থাকা একটি ক্ষুদ্র বাজার তলিয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শীতলক্ষ্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছবিটি পোস্ট করেছেন শহরের করোনাকালে মানবতার কাউন্সিলর শকু।
নাসিকের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু জানান, ১ নম্বর কেন্দ্রীয় লঞ্চ ঘাটের ওপার বন্দর এলাকায় নদীর পার হয়ে উঁচুতে যে বাজার রয়েছে সেখানে পানি উঠে গেছে। আশঙ্কা করছি নদীর পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে দুই দিন এভাবে বাড়তে থাকলে শহর বন্যাকবলিত হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানান, ঘটনার পরেই গত বুধবার বিকেলেই বুড়ীগঙ্গা পানিতে প্লাবিত ১৫০টি পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে ও সরেজমিন ঘুরে দেখে এসেছি, তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো সহায়তা করা হবে।
জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন জানান, ঘটনার পরই সদর ইউএনওকে বন্যাপ্লাবিত এলাাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, আগাম বন্যার আশঙ্কায় আমরা ঈদের আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটি প্রস্তুতিমূলক মিটিং করেছি। সেখানে জেলার প্রত্যেকটি থানার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, ত্রাণ টিম ও মেডিক্যাল টিম বিশেষ করে বন্যায় পানিবাহিত রোগী বেশি হয় সে বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি রেখেছি। মূলত নারায়ণগঞ্জে আগাম বন্যার সব প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের।


আরো সংবাদ



premium cement