২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গ্রিন রোডে নারীর লাশ

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনি গ্রেফতার

-

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেল খুনিকে। ধরাও পড়ল। খুনের সব বর্ণনা দিলো ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। ওই খুনির নাম আনসার আলী। মোমেনা খাতুন নামে এক নারীকে হত্যা করে সে। গতকাল ভোরে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যাল সংলগ্ন গ্রিন রোডে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলিতে মোমেনার (৪০) ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর তদন্তে নেমে মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খুনিকে ধরে ফেলে ডিবি। তবে রহস্য তৈরি হয়েছে হত্যার কারণ নিয়ে। একই সাথে শেরপুরের আমেনা বেগম কেন গ্রিনরোডে এলো তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে হত্যার পর রাতের অন্ধকারে লাশ ফেলে দেয়া হয় গ্রিন রোডের রাস্তায়। ওই এলাকার একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পাশের ভবনের নিরাপত্তারক্ষী লাশের গলায় দড়ি বেঁধে টেনে এনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। ডিবির রমনা বিভাগের এডিসি মিশু বিশ্বাস জানান, গতকাল ভোর ৪টার দিকে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলিতে মোমেনার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার তদন্তে নেমে সকাল ৮টার দিকে খুনি আনসারকে গ্রেফতার করা হয়। সে খুনের সব বর্ণনা দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আনসার বলেছে, সে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলির একটি বাড়ির দারোয়ান। ওই বাড়ির পার্কিংয়ের পাশে তার থাকার একটি রুম ও টয়লেট রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক নারীকে তিনি রুমে নিয়ে আসেন। ওই নারীর সাথে তিনি অপকর্মে লিপ্ত হতে চান। এ সময় ওই নারী চিৎকার-চেঁচামেচি করতে চাইলে আনসার রেগে যান। অপকর্মে ব্যর্থ হয়ে তাকে টয়লেটে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর রাত ২টার দিকে ওই নারীকে কয়েকটি বাড়ির পর ঘটনাস্থলে ফেলে আসে। ওই ফেলে আসার চিত্র ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। আর এতেই ধরা পড়ে খুনি আনসার।
মিশু বিশ্বাস আরো জানান, খুনি আনসারের টয়লেটে রক্তের দাগও লেগে ছিল। প্রথমে ওই নারী অজ্ঞাত ছিল। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। চল্লিষোর্ধ্ব ওই নারীর নাম মোমেনা খাতুন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কলবাগান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মোমেনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে গ্রিন রোডে ১৫২/২ নম্বর বাসার সামনে মসজিদ গলিতে তার লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় গামছা ও রশি পেঁচানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানের জখমের চিহ্ন আছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শ্রীবরদী থানার ওসিকে তার স্বজনদের খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement