২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাঠে নয় বিএনপি শুধু টিভিতেই : তথ্যমন্ত্রী

-

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা দেশের মানুষ দেখছে, কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে শুধু টিভিতেই বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মাঠে আছে, ত্রাণ দিচ্ছে’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাই না এবং তা উচিতও নয়। দেশের মানুষের চোখ-কান আছে, তারা দেখতে পাচ্ছে, কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখের বেশি পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাত কোটি মানুষ ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
নাম উল্লেখ না করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে বসে ভিডিও কনফারেন্স করে দুনিয়ার কথা বলেন, সেটা টেলিভিশনেই দেখা যায়। অপর দিকে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক নেতা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা সবাই মাঠে ছিলেন। সুতরাং আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেটি যে সত্য, তা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। আর মিথ্যা বলাই যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য, তারা ক্রমাগত মিথ্যাই বলবে, এটিই স্বাভাবিক।
এ সময় এখনো চিকিৎসার জন্য মানুষকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য। সেখান থেকে রোগী ফেরত দেয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। চিকিৎসা দিতে না পারলে তারা রোগীকে পরামর্শ দিতে পারে, অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে এ পরিস্থিতিতে রোগী ফেরত দেয়াকে আমি মনে করি এটি অপরাধ এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগীর মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়া ও যশোরের দু’টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এর ভালো ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবে। যদিও ঢাকা আর বগুড়া কিংবা যশোরের পরিস্থিতি এক নয়, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মানুষ যে কিছুটা উদ্বিগ্ন সেটাও ঠিক। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ও আছে। সে কারণেই তারা নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এ প্রেক্ষাপটে আরো কি করা যেতে পারে, কি করা প্রয়োজন সেটি নির্বাচন কমিশনই ভালো বলতে পারবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement