০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভালো নেই ভোলার কাঁকড়া শিকারিরা

-

ভালো নেই ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরীর কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাসের কারণে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কাঁকড়া শিকারি ও ব্যবসায়ীরা। তবুও অনেক শিকারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের পেশা ধরে রাখতে কাঁকড়া শিকার ও বিক্রি অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় বাজারে তেমন দাম পাচ্ছেন না। এতে অনেক শিকারি বেকার হয়ে কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন। কেউ কেউ আবার লাভের আশায় পেশা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। বাংলানিউজ।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেলো, চরফ্যাশন উপজেলার সাগর উপকূলের এক সবুজের দ্বীপ কুকরী-মুকরী। এখানে শতশত কাঁকড়া শিকারি রয়েছে। অল্প পরিশ্রমে লাভবান হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন এ পেশায়। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। বাগানে নিচু এলাকা, খালের কর্দমাক্ত স্থান এবং নদীতে জাল ফেলেও বিশেষ ব্যবস্থায় কাঁকড়া শিকার করেন তারা।
ওই সব শিকারিদের আহরিত কাঁকড়া পাইকারদের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন তারা। পাইকাররা সেখান থেকে কাঁকড়া নিয়ে বড় বড় আড়তে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠিয়ে দিতেন। সেখান থেকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দেশগুলোতে চলে যায় এসব কাঁকড়া। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় হঠাৎ করেই কাঁকড়া রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিকারি ও ব্যবসায়ীরা। দু’চারটি চালান পাঠানো হলেও তাতে লোকসান গুনতে হয় পাইকারদের। অনেক শিকারি কম টাকা পেলেও আর্থিক সঙ্কট দূর করতে এখনো কাঁকড়া শিকার করছেন।
কাঁকড়া শিকারি রিয়াজ, দেলোয়ার, জুতিলালসহ অনেকে বলেন, আমরা কাঁকড়া শিকার করে আড়তে বিক্রি করছি। আগে আমরা অনেক ভালো দাম পেতাম কিন্তু এখন বাজার দাম কমে গেছে। আগে যেখানে কেজি প্রতি ২০০-৩০০ টাকা পেতাম। এখন পাই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবুও জীবিকার টানে কাঁকড়া শিকার করছি এবং তা বিক্রি করছি। বর্তমানে কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে আমাদের যে পরিশ্রম হয় তার অর্ধেক দামও পাচ্ছি না।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে যেখানে শুধু কুকরী-মুকরী থেকে অর্ধশত ঝুড়ি কাঁকড়া রফতানি হতো সেখানে ৫-১০ ঝুড়ির বেশি কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে না। কখনো আবার এসব কাঁকড়া ফেরত চলে এলে তাদের কম দামে বিক্রি করতে হয়।
কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও পাইকার খলিল এবং মফিজুল ইসলামসহ অনেকে জানান, করোনাভাইরাসের আগে কাঁকড়ার চাহিদা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের পর থেকে এর চাহিদা অনেক কমে গেছে। কখনো কখনো কাঁকড়া পাঠানো হলেও আবার ফেরত আসে, তখন কম দামে বাজারে বিক্রি করতে হয়।
তারা আরো জানান, অনেকেই আবার ঘের থেকে বিক্রির জন্য কাঁকড়া পাঠাচ্ছেন কিন্তু সময়মতো সাপ্লাই দিতে না পারায় অনেক কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। সে কারণেও লোকসান গুনতে হচ্ছে। আবার দুইদিন চালান নেয় তো সাতদিন বন্ধ থাকে। এভাবে আমরা ব্যবসায়ীরা কাঁকড়া নিয়ে বিপাকে আছি। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ দিকে কাঁকড়া একটি লাভজনক পেশা হলেও লোকসানের মুখে অনেকেই কাঁকড়া শিকার বন্ধ করে দিয়েছেন। কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে তাদের আগ্রহ কমে গেছে।
এ ব্যাপারে ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, কাঁকড়া শিকারি এবং ব্যবসয়ীদের আমরা উৎসাহ দিচ্ছি, তারা বর্তমানে কিছুটা লোকসানে থাকলেও পরবর্তীকালে সঙ্কট কেটে যাবে বলে আমরা মনে করছি।
অপর দিকে লকডাউন উঠে গেলে আবারো কাঁকড়া ব্যবসা জমজমাট হবে এমনটাই মনে করছে কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল