২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশালে ৭ বছরের জেল

-

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশালে সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল গণভবনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০ এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খসড়ায় রফতানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে শাস্তি অনধিক সাত বছরের জেল বা পাঁচ লাখ টাকা জারিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদিত আইনের খসড়া অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি রফতানি বা অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মৎস্য বা মৎস্যপণ্য বাজারজাত করলে শাস্তি অনধিক সাত বছর, কিন্তু পাঁচ বছরের নিচে নয়, কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এর আগে এ ক্ষেত্রে শাস্তি ছিল ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জারিমানা বা উভয় দণ্ড।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের রফতানি বাজার ধরে রাখা এবং নতুন বাজারে অনুপ্রবেশ, মানসস্পন্ন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি-রফতানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণের জন্য এ সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশটিকে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও রহিতক্রমে বাংলা ভাষায় আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯ এর খাসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি। এরপর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ কর্তৃক আইনটির ভেটিং কার্যক্রম শেষ করে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
আইনটি ৯টি অধ্যায়ে মোট ৫০টি ধারা আছে। ধারা ২ এ প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োগযোগ্য বিবেচনায় ‘অপদ্রব্য’, ‘অনাপত্তি’, ‘আঞ্চলিক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’, ‘কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’, ‘কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার’, ‘ট্রেসিবিলিটি’, ‘পরিদর্শক’, ‘পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা’, ‘মিথ্যা সনদ বা দলিল’, ‘স্বাস্থ্য সনদ, ‘স্থাপনা’ এর নতুন সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনের ধারা ৩৩ অনুযায়ী পচা বা দূষিত মাছ বিক্রি করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানার বিধান আছে।
এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা স্টেশন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচারের বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে রফতানি বাজার ধরে রাখা এবং নতুন বাজারে অনুপ্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে মানসম্পন্ন মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারে বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

সকল