২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বাড়ানোয় সংসদে মতিয়া চৌধুরীর ক্ষোভ

-

২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদ ৯ শতাংশ থাকলেও উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশের প্রস্তাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘উনি (অর্থমন্ত্রী) এখানে কেন হাত দিলেন, যেখানে তিনি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়াচ্ছেন, গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন। অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়িয়ে অসহায় যারা তাদের পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে হাত বাড়ালেন। এই কর কমানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। সংসদে গতকাল বিকেলে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া চৌধুরী এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
তিনি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, এটা অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। এ কারণে যে, গত ৫-৬টা বছর একের পর এক কথা বলে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদ সেট করলেন ৯ শতাংশ-ই থাকবে। উনি ৯-ই রাখলেন ঠিকই কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা আমি সমর্থন করতে পারি না। এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায় অস্বচ্ছল মহিলারা। অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়িয়ে অসহায় যারা দায়িত্বাধীন তাদের পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে হাত বাড়ালেন। এরাইতো বাজারের কাস্টমার। কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন আমি বুঝতে অক্ষম। বাস্তবতা হলো কালো টাকা আছে। এটারে কোনোমতে খোয়াড়ে ঢুকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন, এটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু পরিষ্কার বলতে চাই, এই জিনিসটা অর্থমন্ত্রী চিন্তা করবেন। বিশেষ আপিল থাকবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের সব নেতাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল অভিযোগ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, তখন বিরোধী দলীয় নেত্রীর আসনে বসা আজকের প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে কথা বলতে দেয়া হয়নি। অন্য দিকে, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ওনারে মারতে যাবে কে? ওনারে কে মারতে যায়নি? বরং বলতে হবে, বেগম খালেদা জিয়ারে মারতে যাবে কে? যেভাবে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় মাথায় শাস্তি নিয়ে, সেরকম হয়তো হতে পারে। আল্লাহর কলমের কথা, আমরা এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে চাই না।


আরো সংবাদ



premium cement