৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিয়ানমার সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই

-

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং বলেছেন, মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার জাতিসঙ্ঘের নেই। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারীদের আহ্বানের এক সপ্তাহ পর এই প্রতিক্রিয়া জানালেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
গত রোবরার সেনাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় মিয়ানমার সেনাপ্রধান এ মন্তব্য করেন। মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে জাতিসঙ্ঘের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর এই বিষয়ে এটাই তার প্রথম প্রতিক্রিয়া।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরিচালিত দৈনিক পত্রিকা মিয়াওয়াদির বরাত দিয়ে এএফপি সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, কোনো দেশ, সংস্থা বা গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের বা দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো অধিকার নেই।
২৭ আগস্ট এক রিপোর্টে রোহিঙ্গা গণহত্যায় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরে জাতিসঙ্ঘ। এতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাথে বেসামরিক কর্তৃপক্ষও এই গণহত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ জানায়, রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকারের মাত্রায় তারা অবাক হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সেনাকর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করা হয় রিপোর্টটিতে। সেখানে ছয়জন সেনাকর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন দেশটির সেনাপ্রধানও।
গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলার অজুহাতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা।


আরো সংবাদ



premium cement