রা‌তে বৃ‌ষ্টি, দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি

চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৩ দি‌ন ধ‌রে অব্যহত র‌য়ে‌ছে অতি তীব্র তাপমাত্রা। মঙ্গলবার দিবাগত রা‌তে বিদ্যুৎ চমকা‌নো ও দমকা হাওয়ার সা‌থে সামান্য এক পসলা বৃ‌ষ্টি কিছুটা জনম‌নে স্বস্তি আন‌লেও দি‌নের আলো ফোটার সাথে বেলা যত বাড়‌তে থা‌কে সূ‌র্যের চোখ রাঙানিও ত‌তে বাড়‌তে থা‌কে। বাড়তে থাকে ভ্যাপসা গরম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।

তীব্র তাপদাহের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছে। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছে।

এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয় এবং দমকা হাওয়া বয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এই ঝড়-বৃষ্টি। এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এক দশমিক ছয় মিলিমিটার।

বৃষ্টির আগে মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পর এ জেলার তাপমাত্রা আরো দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থে‌কে ৪২ দশ‌মিক ৪ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা কর‌ছে।

এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলেও তিনি জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মে‌নে চল‌তে।