মেহেরপুরের গাংনীতে পিকনিকের বাস উল্টে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের তেরাইল ডিগ্রি কলেজের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী অবিভাবক ও শিক্ষকার পিকনিকে নাটোরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসটি তেরাইল ডিগ্রি কলেজের কাছাকাছি হলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুরা মিলে ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে হাসান পরিবহন নামের একটি বাস নাটোরে পিকনিকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাসটি দ্রুত গতিতে তেরাইল ডিগ্রি কলেজের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বাসটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। এতে অনেকেই বাসের মধ্যে আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহতরদের মধ্যে রাজনগর গ্রামের একই পরিবারের চারজনসহ ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী খাজিরন নেছা (৩০), মেয়ে সুমায়া (১০) ও সুমাইহা (৫), একই গ্রামের জুই খাতুন (৭), জোবাইয়া (৪), লিমা খাতুন (২৯), পলি খাতুন (৪০), তার ছেলে সম্রাট (১৮), চামেলী খাতুন (৩০), মুক্তি খাতুন (২৯) ও সুরমান আলী (৪০)।
বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ইছাহাক আলী বলেন, বাস উল্টে যাত্রীরা আটকে পড়েছিলেন। বাস যাত্রীদের বেশির ভাগ আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাস ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসটি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বাসের চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা