২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিখোঁজের ৬ দিন পর নদীতে মিললো গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ

নিখোঁজের ৬ দিন পর নদীতে মিললো গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ - ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ শনাক্ত করেন তার মেয়ে মিম। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

পপি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়নের নগরবোয়ালীয়া গ্রামের তুহিনের স্ত্রী। এছাড়া তিনি একই উপজেলার বেলগাছি গ্রামের ইসলামপাড়ার ভোলা শেখের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন নারী মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় নদীতে একটি নারীর লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ভোলা শেখ বলেন, ‘ছয় দিন আগে আমার জামাই তুহিনসহ পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানায়, পপি খাতুন কোনো ছেলের সাথে চলে গেছে। কার সাথে গেছে জিজ্ঞাসা করলে কোনো সদুত্তর দেয়নি তারা। এরপর আমি আলমডাঙ্গা থানায় জিডি করি। পুলিশ ও আমরা অনেক খুঁজেছি। কোথাও পাইনি আমার মেয়েকে। আজ আমার মেয়েটাকে জীবিত পেলাম না, পেলাম নদীর ভেতর মৃত অবস্থায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার নাতি মিমের বয়স ১০ বছর। এর আগে অনেকবার তুচ্ছ ঘটনায় আমার জামাই তুহিন ও তার পরিবারের লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাড়ি চলে এসেছিল। তাই আমার ধারণা, জামাই তুহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের পর হত্যা করেছে আমার মেয়েকে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিনুজ্জামান খান বলেন, নিখোঁজের ছয় দিনের মাথায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পপি খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পপি খাতুনকে হত্যার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রদিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উন্মোচনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement