বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর নেতৃত্বে ভোর রাতে একটি বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সন্তান ও জামাইয়ের জীবন বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মারধরের দুই বৃদ্ধা নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন ডাকুয়া জাহিদুল ইসলাম (৩৮), তার মা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রহিমা বেগম (৬০) ও জাহিদুলের শাশুড়ি নাহার বেগম (৫০)।
ওই পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত ওই দুই নারীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সময় জীবন বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়েও কোনো পুলিশি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রাঢ়ীপাড়া গ্রামে জাহিদুল ডাকুয়ার বাসায় সাহরি খাচ্ছিলেন। এ সময় কচুয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু ১৫ থেকে ২০ জন লোক নিয়ে তাকে ডাকতে থাকেন। এ সময় দরজা না খোলায় কুড়াল দিয়ে দরজা কেটে ঘরে প্রবেশ করে, জাহিদুলকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তার শাশুড়ি নাহার বেগম এগিয়ে গেলে তাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে মোবাইলে খবর পেয়ে সন্তানের জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন জাহিদুলের মা রহিমা বেগম। তাকেও মেহেদী হাসান বাবু বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।
এ সময় তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে জাহিদুল ছুটে পালান। এ সময় তার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়।
জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি জীবন বাঁচাতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু কচুয়া থানা পুলিশ অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে। তিনি জীবনের নিরাপত্তার জন্য এলাকা ছেড়ে শহরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো: শাফিন মাহমুদ বলেন, অভিযোগ দিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা