ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো জি-২০ সদস্যদের ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে’ বলেছেন। মঙ্গলবার বালিতে এ গ্রুপের নেতাদের এক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বিষয়টি বেশি প্রাধান্য পাবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনের প্রাক্কালে তিনি নেতাদের বলেন, ‘দায়িত্বশীল হওয়ার অর্থ কোনো এক পক্ষের একতরফা লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা নয়, এখানে দায়িত্বশীল হওয়ার অর্থ আমাদেরকে অবশ্যই এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে না পারলে, এতে বিশ্বের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।’
রাশিয়ার আট মাসের আগ্রাসন এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির নিন্দা জানানো যায় জি-২০ সম্মেলনে এমন একটি যৌথ ঘোষণার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তার প্রমাণ হিসেবে মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বালিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
কিন্তু জাকার্তা একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে এবং বৈঠকের আগে মস্কোকে আমন্ত্রণ না জানানোর পশ্চিমা চাপকে প্রত্যাখান করে।
রাশিয়ার নাম উল্লেখ না করে উইদোদো বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে আরেকটি শীতল যুদ্ধের সুযোগ না দিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা উচিত হবে না। আমাদের বিশ্বকে আরেকটি শীতল যুদ্ধে পড়তে দেয়া অবশ্যই উচিত না।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ফলে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি লাখো মানুষকে দারিদ্রের দিকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মন্দার দিকে ঠেলে দেয়ার পর জি-২০ নেতারা বালিতে একত্রিত হয়েছেন।
উইদোদো বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর এ ব্লককে বিশ্বের গভীরতম এ সঙ্কট মোকাবেলায় অবশ্যই সফল হতে হবে।
তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, ‘আজ বিশ্বের নজর আমাদের দিকে। আমরা কি সাফল্য পাবো? নাকি আরো একটি ব্যর্থতা যোগ করবো?’
‘আমার পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি যে জি-২০ অবশ্যই সফল হবে। এটি অবশ্যই ব্যর্থ হবে না।’
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা