৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন

হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন - সংগৃহীত

গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলস্বরূপ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীর ঘামের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। প্রবল গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে এবং মাথা ঘোরা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা ইত্যাদির আকারে দেখা দেয় হিট স্ট্রোক। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৬ ডিগ্রি অবধি হয়ে যেতে পারে। সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার না নিলে এর থেকে ব্রেন তথা শরীরেরও নানা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি হলেও সবারই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে ডায়েটে কিছু বিশেষ পরিবর্তন আনুন। মূলত শরীরের অপটিমাম ফ্লুইড ইনটেক ধরে রাখলে এবং ঘামের মাধ্যমে বেড়িয়ে যাওয়া ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা স্বাভাবিক রাখলে হিট স্ট্রোকের সমস্যা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ গ্লাস অথবা ২.৫-৩ লিটার জল খান। শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে ঘাম হলেও ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবে না। সাধারণ পানি খেতে না চাইলে তাতে সামান্য লেবুর রস, জলজিরা, চারমগজ বা পুদিনাপাতা মিশিয়ে নিতে পারেন। পানির পরিবর্তে কফি বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে চলবে না। এই ধরনের পানীয় শরীরের কোনও উপকারই করে না। উপরন্তু এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেটুস, শসা, তরমুজ, আনারস, কমলালেবু, মুসাম্বি এবং পুদিনা গরমের জন্য আদর্শ। এতে ক্যালরির পাশাপাশি সোডিয়ামের পরিমাণও কম থাকে। পরিবর্তে থাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করবে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানেরও জোগান দেবে।

প্রতিদিন এক গ্লাস করে হুইট গ্রাস জুস বা অন্য সবুজ সবজির রস (ধনেপাতা, পুদিনা, কারিপাতা, পালংশাক) খেতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে তাতে সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নিতে পারেন। রাস্তায় বেরলে কোল্ড ডিঙ্কসের পরিবর্তে ডাবের পানি, চিনি ছাড়া লেবুর জল, ছাঁস বা লস্যি, টাটকা ফলের রস ইত্যাদি খেতে পারেন।

ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রাখুন। রিফাইন্ড খাবার বেশি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যা হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। বরং ব্রাউন রাইস, কাঁচা সবজি, মুগের স্প্রাউট স্যালাড ইত্যাদি খান।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও ডায়েটে রাখুন। ডিমের সাদা অংশ, টকদই, ডাল, স্প্রাউট, অলিভ অয়েল এবং বাদাম খেতে পারেন।

গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে পেঁয়াজ খুব উপকারী। বেশি করে পেঁয়াজ খেতে পারেন। এতে হিটস্ট্রোক থেকেও বাঁচবেন। তবে রান্না করার পরিবর্তে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে বেশি উপকার পাবেন।

খাবার বাছার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখুন। খাবার যতটা সম্ভব হালকা, পুষ্টিকর এবং কম তেল-মশলাযুক্ত রাখুন। ভাজাভুজি, রেড মিট, ঘন গ্রেভি, কফি, অ্যালকোহল, সিগারেট এবং দেরী করে ডিনার করা ইত্যাদি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

দারচিনি, রসুন, গোলমরিচ, ড্রাই ফ্রুট, ঘি ইত্যাদির পরিবর্তে কোকম, টকদই, কাঁচা আম ইত্যাদি বেশি করে খান।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার?

সকল