২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ

-

ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি, যা আজকাল প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। যদিও বর্ষাকালে এর উৎপাদন বেশি হয়। খাদ্যোপযোগী ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো ক্যারোটিন ১৬৭০ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১৬ মি: গ্রা:, শর্করা ৮.৭ এমি, আমিষ ১.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.১ গ্রাম, লৌহ ১.৫ মি: গ্রা:, ভিটামিন বি ০.২০ মি: গ্রা:, ভিটামিন সি ১০ মি: গ্রা:, খাদ্য শক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম। এই ক্যারোটিন আমাদের অন্ত্রে গিয়ে ভিটামিন-‘এ’ তৈরি করে। ভিটামিন-‘এ’ এর প্রধান কাজ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা। শরীরে ভিটামিন-এ এর অভাব হলে রাতে দেখার উপযোগী চোখের বড় কোষগুলো কর্মদক্ষতা কমে যায় একে বলা হয় রাতকানা। রাতকানা সমস্যা ক্রমাগত চলতে থাকলে অবশেষে চোখ অন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দেশে ভিটামিন-এ এর অভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশু প্রতিদিন অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গর্ভাবস্থায় ও প্রসূতি মায়েদের ভিটামিন-এ এর চাহিদা অনেক। এ সময় ভিটামিন-এ এর অভাব থাকলে মা ও শিশুর রাতকানার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যারোটিন-সমৃদ্ধ ঢেঁড়স এবং অন্যান্য গাঢ় সবুজ ও হলুদ রঙের সবজি ও ফল থাকা প্রয়োজন। ঢেঁড়সে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অন্যান্য সবজির চেয়ে অনেক বেশি। বাড়ন্ত শিশুর দাঁত ও হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক, যা নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে পাওয়া যায়। ঢেঁড়স সহজেই হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সুতরাং দেহের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য ছোট-বড় সবারই পুষ্টিসমৃদ্ধ সস্তা ও সহজলভ্য ঢেঁড়স ও অন্যান্য শাকসবজি খেয়ে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা উচিত।
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ


আরো সংবাদ



premium cement