২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেমি ডে’র সাথে দুই বছরের চুক্তি হচ্ছে

জেমি ডে’র সাথে দুই বছরের চুক্তি হচ্ছে - সংগৃহীত

কোচিং ক্যারিয়ারে বাংলাদেশে দুই বছর পার করতে যাচ্ছেন জেমি ডে। মে মাসেই তার সাথে বাফুফের চুক্তি শেষ। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে কাজ করা অন্য বিদেশী কোচদের মতো দু:খ জনক বিদায় হচ্ছে না এই ইংলিশের। বরং তার সাথে চুক্তি আরো বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে অতীতের মতো এক বছরের জন্য নয়। এবার তার সাথে বাফুফের চুক্তি হবে দুই বছরের। করোনা পরিস্থিতির কারনে কবে তার সাথে নতুন ভাবে চুক্তিবদ্ধ হবে বাফুফে তা এখনও ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এই বিষয় চ’ড়ান্ত। জানান বাফুফের সহ সভাপতি, ন্যাশনাল টিমস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল জানান এই তথ্য। ২০১৮ সালের ১৮ মে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন জেমি। গতবছর নবায়ন হয় তা।

জর্জ কোটান , সামির সাকির বা অটো ফিস্টার বা জোরান দরদেভিসের মতো বাংলাদেশকে কোনো ট্রফি দিতে পারেনি নি জেমি ডে। তারপরও কেন এবার তার সাথে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছে বাফুফে। তাবিথ আউয়ালের যুক্তি, আমাদের কিছু কাজ অবশিষ্ট আছে। আমরা তিনটি কারনে জেমি ডে কে ফের বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে রাখছি। এক, এখনও বাকী কাতার বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের অবশিষ্ট খেলা। দুই, সাফ ফুটবলে এখনও শিরোপা পুনরুদ্ধার হয়নি। তিন, জেমির অধীনে বাংলাদেশ দলে বেশ উন্নতি হয়েছে। মানসিক এবং ফিজিক্যাল। ফুটবলারদের মধ্যে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। তার অধীনেই ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়ে এশিয়ান গেমস ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া। এবার ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এক পয়েন্ট পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। জেমিকে দিয়েই এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।

আপাতত ইংল্যান্ডে বসে ফোনে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ফিটনেসের খোঁজ খবর নিচ্ছেন জেমি। বিশ্বকাপ বাছাই ছাড়াও আগামী দুই বছরে বাংলাদেশের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। বিভিন্ন দেশও টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশকে আমন্ত্রন জানাতে চায়। এছাড়া র‌্যাংকিং বৃদ্ধির জন্য বাফুফে আগামীতে প্রচুর ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে। যেহেতু জেমির অধীনে বাংলাদেশ দল এখন যে কোনো বড় ফুটবল শক্তিকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারছে তাই তার উপরই আস্থা বাফুফের। জানান সাবেক ফুটবলার তাবিথ।

উল্লেখ্য জেমি ডে কোচিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৬টি ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে। পরাজয়ও সাত ম্যাচে। ড্র দুই খেলায়। আর অনূর্ধ্ব-২৩ দল ১১ ম্যাচের তিনটিতে বিজয়ের হাসি হেসেছে। ড্র দুই খেলায়। হার বাকী ছয়টিতে।


আরো সংবাদ



premium cement