কোনো ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : কাদের

রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না পেয়ে বিএনপি ভারত বিরোধিতা শুরু করেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকে বিএনপি আবার পাকিস্তানি কায়দায় পাকিস্তান আমল থেকেই যে অপপ্রচার শুনেছি রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন সেই একটা ইস্যু আওয়ামী লীগ বিরোধিতা সামনে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হতো এখন আবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হচ্ছে। সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধিতা ইস্যু। এখানে ভারতের কী আছে? বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচনে ৪১ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে, অনেক উন্নত দেশেও এই পরিমাণ ভোট পড়ে না। তারপরও তারা বলে ভারত এখানে নির্বাচিত করল।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। দেশী-বিদেশী অপশক্তির দ্বারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের যে চক্রান্ত চলছিল তখন তা প্রতিহত করার জন্য ভারতসহ বন্ধু দেশ যারা আছে তারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত বয়কটের ডাকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যে কোনো মিল নেই। বিএনপি একটি অবাক করা দল, বিএনপির এক নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, আবার আরেক নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। মঈন খানের এক কথা, রিজভীর আরেক কথা। সিঙ্গাপুর থেকে মির্জা ফখরুল বলেন আরেক কথা। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও নিজেদের পকেটের উন্নয়নের দল। সাধারণ মানুষের দল নয়। আর আওয়ামী লীগ জনগণের দল। বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে। এই হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ইফতার পার্টি না করে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার যে নির্দেশ তা পুরো ঢাকা শহরসহ সারা দেশে অব্যাহত রাখতে হবে।
বর্তমান বাজারদর প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ইদানীং বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম কোথায় গিয়েছিল, এখন সেটা ৩০ টাকার মধ্যে নেমে গেছে। আমার মনে হয়, জিনিসপত্রের দাম আরো কমবে। সাধারণ মানুষের সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি প্রমুখ।