২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশুটিকে দেখে কাঁদছে সবাই!

-

সদর হাসপাতালের লাশঘরে তিন বছরের শিশুটির নিথর দেহ। ফুটফুটে সুন্দর শিশুটির পায়ে নেইল পলিশ দেয়া। পোশাক আশাক খুবই পরিপাটি। সদর হাসপাতালের লাশঘরে একনজর শিশুটিকে দেখতে এসে অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন। ইউএনবি।
এক দিকে শিশুর প্রাণহীন দেহ পড়ে রয়েছে লাশঘরে, অন্য দিকে তার মা-বাবা আহত হয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সম্ভাবনাময় শিশুটির জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার মন্দবাগ স্টেশনে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ১৬ জনের তালিকায় তিন বছরের শিশু ছোঁয়ামণিও রয়েছে। তার বাবা সোহেল মিয়া চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করেন। স্ত্রী নাজমা বেগম ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তিন সদস্যের পরিবারটি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং বড় বাজার এলাকায়। কিন্তু মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় শিশুটির প্রাণ। নিহত হওয়ার পর শিশুটির ঠাঁই হয় সদর হাসপাতাল মর্গে আর গুরুতর আহত অবস্থায় তার মা-বাবাকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে হবিগঞ্জ এবং সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে শিশুটিকে দেখে অনেক মানুষ সদর হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। ডোম ঘরে কথা হয় শিশুটিকে দেখতে আসা সানিয়া সুলতানার সাথে। তিনি জানান, সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি দেখে নিজেকে মানিয়ে রাখতে পারিনি। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে শিশুটিকে দেখেছি।
হাসপাতালের ডোম বাদশা মিয়া বলেন, ‘জীবনে অনেক লাশ কাটা-ছেড়া করেছি। কিন্তু এমন একটি শিশুকে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে দেখিনি। মনের মধ্যে খুবই কষ্ট পেয়েছি।’ পিঠে ও মাথায় আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement