রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার শক্ত অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করতে একটি কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক কমিশন বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমারে কাজ করবে। জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমকে মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দিচ্ছি আমরা।
ড. মোমেন বলেন, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম এমনকি ভারতেও এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন করছে।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে ১৫ আগস্ট ও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, নিজেদের এবং এ অঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে তাদের লোকদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। এ দায়িত্ব মিয়ানমারের, আমাদের না। আমরা অনেক করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেছি। মানবিক দিক থেকে আমাদের যা করার ছিল, সব করেছি। এখন রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। মিয়ানমারকে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এ সঙ্কট কেবল বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে থাকতে পারে না। এ সঙ্কট সুরাহায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে পথ খুঁজে বের করতে হবে।
২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলেও এ প্রক্রিয়া চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে আলোচনা সভায় ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারী নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কানাডা অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমরা এখনো তাদের সাথে কাজ করছি। অপর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে এর আগে এ মামলার অপর আসামী মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তারা ফেরত পাঠিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগেই এসব খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা