০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসুন : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস - ছবি : বিবিসি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে আরো একবার জোরালো ভাষায় আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই যুদ্ধ ইউরোপ এবং সারা বিশ্বকে কতটা বিপদগ্রস্ত করে তুলেছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি।

যুদ্ধের এক বছর পূর্তির এক দিন আগে বুধবার রাতে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে এক সভায় ভাষণে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই যুদ্ধ ‘আঞ্চলিক অস্থিরতা’ উসকে দিচ্ছে, এবং সেই সাথে বিশ্ব জুড়ে ‘উত্তেজনা ও বিভেদ’ সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, আর এ কারণে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সংকট সমাধানের ওপর থেকে ‘নজর ও সম্পদ’ সরে যাচ্ছে।

গুতেরেস হুঁশিয়ার করেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ হুমকির’ কথাও উচ্চারিত হচ্ছে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে আসার এখন উপযুক্ত সময়।’

ইউক্রেনের সমস্ত এলাকা থেকে বিনা শর্তে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারে ইউক্রেনের আনা নতুন এক প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের জন্য ওই সভা ডাকা হয়।

রাশিয়ার সমালোচনা করে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনে হামলা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, কিন্তু একইসাথে যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে তিনি বারবার বিবদমান পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

‘যেকোনো ধরনের আত্মতুষ্টি সংকটকে আরো গভীর করবে, যার পরিণতিতে জাতিসঙ্ঘ সনদের মূল আদর্শগুলো আরো বিপন্ন হবে।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়, যুদ্ধ নতুন সমস্যা ডেকে আনে। ইউক্রেনের মানুষজন চরম দুর্গতি পোহাচ্ছে। ইউক্রেন, রাশিয়া এবং এই দুই দেশের বাইরের মানুষজনের কাছে এখন শান্তি প্রয়োজন।’

কিন্তু জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব যখন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন তখন যুদ্ধ আরো বিপজ্জনক মোড় নেয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ কমপক্ষে আরো এক বছর চলবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভিডিও ভাষণে বলেছেন, তার সরকার ‘পিতৃভূমি রক্ষায়’ নিয়োজিত সৈনিকদের জন্য আরো নতুন এবং আধুনিক সমরাস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়েছে।

যুদ্ধের বছর পূর্তিতে শান্তির কোনো উদ্যোগ নেয়ার পরিবর্তে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা প্রকাশ্যে একে একে আরো আধুনিক মারণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

স্পেন বুধবার বলেছে, তারা ইউক্রেনকে জার্মানির তৈরি ছয়টি লেপার্ড টু ট্যাংক দেবে।

সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাল জনসনও স্থানীয় এক মিডিয়ায় বলেছেন, তাদের সরকার ইউক্রেনকে বেশ ক’টি লেপার্ড ট্যাংক দেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

ফিনল্যান্ডের সরকারও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা তিনটি লেপার্ড ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাবে।

আর ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়া হতে পারে।

ন্যাটো জোট থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়া হলে যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement