২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পূর্ব ইউক্রেন দখলের লড়াইয়ে জোর প্রস্তুতি রাশিয়ার

পূর্ব ইউক্রেন দখলের লড়াইয়ে জোর প্রস্তুতি রাশিয়ার - ফাইল ছবি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু'পক্ষই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এই অভিযানের সামরিক লক্ষ্যে রাশিয়া পরিবর্তন আনছে।

দোনেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর পাভলো কিরিলেংকো জানিয়েছেন, শক্তিবৃদ্ধির অংশ হিসেবে তার এলাকায় রাশিয়া সৈন্যদের নতুন ব্যাটালিয়ন পাঠাচ্ছে।

তিনি বলেন, দু'পক্ষের মধ্যে বিভাজনকারী রেখার দু'পাশে এখন সারাদিন ধরে লড়াই চলছে। তবে সেখানে উপস্থিত বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলন, ইউক্রেন বাহিনী যে মাত্রায় শক্তিবৃদ্ধি করছে, রাশিয়ার তুলনায় তা কিছুই না।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীও পূর্বাঞ্চলে রুশ অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, রুশ বাহিনী লুহানস্ক ও দোনেৎস্কসহ বেশ ক'টি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে বলে তারা মনে করছে।

ওই অঞ্চলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাদের হাতে চলে যেতে পারে বলেও ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন।

বেলারুস থেকে ডনবাস
ওদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধের ওপর নজর রাখছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধ জোরদার হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী বেলারুসের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে দলে দলে রুশ সৈন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন এবং মিকোলায়েভ শহরেও এখন লড়াই চলছে।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা তথ্যমতে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ক্রামাটরস্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইউক্রেনে হামলার উদ্দেশ্য মহান : পুতিন
এদিকে ইউক্রেনের ওপর হামলার উদ্দেশ্যকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন মহান বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য, তার ভাষায়, ডনবাস অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাহায্য করা।

আর এই লক্ষ্য যে অর্জিত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই বলে পুতিন উল্লেখ করেন।

ডনবাস কেন পুতিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের এখনকার প্রধান লক্ষ্য পুরো ডনবাস অঞ্চলের মুক্তি। এটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক প্রদেশ যেখানে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই লড়াই শুরু হওয়ার আগে থেকেই বহু জায়গার নিয়ন্ত্রণ কব্জা করেছে।

পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া ডনবাস অঞ্চলে সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ এবং তিনগুণ করতে পারে বলে তারা সন্দেহ করছেন।

গোয়েন্দা তথ্য ও স্যাটেলাইট ছবির কথা উল্লেখ করে তারা বলছেন, ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ প্রদেশ বেলগোরদ, ভোরোনেঝ এবং রস্টভে রুশ সৈন্য সংখ্যা বাড়ছে।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে যাদের ইলমে দীন অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে, তারাই প্রকৃত ধনী ৩৩ ইসরাইলির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের ‘টেকসই প্রস্তাব’ কী হবে হামাসের প্রতিক্রিয়া উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের

সকল