জিতুর আগ্রহ ভালো স্ক্রিপ্টে

জিতু আহসান, বাংলাদেশের টিভি নাটকের এমনই একজন জাত অভিনেতা যাকে নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন বা আগ্রহ রয়েছে অনেক নির্মাতার। জিতু আহসান শুধুমাত্র একজন গুণী অভিনেতাই নন, সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ। অনেক শিল্পীই বিনয়ী মানুষ হিসেবে কিংবা ভালো মনের মানুষ হিসেবে জিতু আহসানের দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। সেই জিতু আহসানের অভিনয় দেখার জন্যও মূলত যারা নাটক বুঝেন বা অভিনয় বুঝেন তারা জিতু আহসান অভিনীত নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তাদের জন্যই যখন কোনো ভালো স্ক্রিপ্ট হাতে পান তখন তিনি সে স্ক্রিপ্টে অভিনয় করেন। ঠিক তেমনি একটি স্ক্রিপ্টের নাটক অনিমেষ আইচ রচিত ও পরিচালিত বিটিভিতে প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘এখানে কেউ থাকে না’। কিছুদিন আগেই বিটিভিতে ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হয়েছে। এতে প্রতাপ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। প্রশ্ন রাখি অভিনয় আপনার কাছে মূলত কী? এমন প্রশ্নের জবাবে জিতু আহসান বলেন,‘ অভিনয় আমার কাছে নেশা, ধ্যান। আমি অভিনয়টাকে আরাধনা করি। আক্ষরিক অর্থেই মন থেকে আমি বলছি, কোন স্ক্রিপ্ট আমার পছন্দ না হলে আমি অভিনয় করি না। কারণ আমার কাছে মনে হয় যেটা আমার হৃদয়কেই স্পর্শ করেনি, তা দর্শকের হৃদয়কে কিভাবে স্পর্শ করবে। আমি কাউকে আঘাত দিয়ে বা ছোট করে বলছি না। আমি শুধু আমার অভিমতটা প্রকাশ করছি।’ জিতু আহসান ‘এখানে কেউ থাকে না’র আগে সর্বশেষ বিটিভিরই বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত ‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে সেই ছোট্টবলোয় তিনি প্রথম মামুনুর রশীদের রচনায় ও মোস্তাফিজুর রহমানের প্রযোজনায় ‘একটি সেতুর গল্প’ নাটকে অভিনয় করেন। মোস্তাফিজুর রহমানের প্রযোজনায় ও কাজী মাহমুদুর রহমানের রচনায় ‘সাতজন যাত্রী’ নাটকে তিনি রাইসুল ইসলাম আসাদের ছোটবেলার চরিত্রে এবং সৈয়দ সিদ্দিক হোসেনের প্রযোজনায় ‘শেষ মানুষের ঠিকানায়’ আফজাল হোসেনের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেন। পরিণত বয়সে তার প্রথম নাটক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেনের প্রযোজনায় ‘খেলা ভাঙ্গার খেলা’, বিপরীতে ছিলেন তনিমা হামিদ। ২০০০ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় ‘জোয়ার ভাটা’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে তিনি পেশাগতভাবে অভিনয়ের দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেন। গেল ঈদে তিনি জুয়েল শরীফের নির্দেশনায় একটি খণ্ড নাটকে অভিনয় করেন। ছোট বেলায় আব্দুল লতিফ বাচ্চুর পরিচালনায় ‘লাল বেলুন’ সিনেমায় অভিনয় করেন। বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় তিনি ‘গহিন বালুচর’ সিনেমায় প্রথম নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ব্যাপক প্রশংসিত হন।