২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক সাথে আসছেন শাকিব-অনন্ত

-

এমনিতে চলচ্চিত্রের বাজার ভালো নয়। তার সাথে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের ধাক্কা। প্রায় বছরখানেক ধরে বড় বাজেটের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। কিছু প্রেক্ষাগৃহ খোলা হলেও অধিকাংশই বন্ধ। এর মাঝে কিছু প্রযোজকের পরিকল্পনাবিহীন সিনেমার ঘোষণা সিনেমার বাজার আরো নরবরে করে ফেলেছে। শুধু গণমাধ্যমে নিজের নাম প্রচার করার জন্য অনেকে নতুন সিনেমা তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘোষিত সিনেমার অধিকাংশেরই কাজ শুরু হয়নি। কবে নাগাদ শুটিং হবে সেটাও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি অনেক প্রযোজক। এই অবস্থায় ঢাকার ছবির দুই বড় অভিনেতা শাকিব খান ও অনন্ত জলিল আলাদাভাবে নিজেদের পরবর্তী সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যদের সিনেমার ঘোষণা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও শাকিব-অনন্তর ছবি নির্দিষ্ট সময়ে হবে বলেই বিশ্বাস করেন তাদের ভক্তরা।
কিন্তু এই দুই অভিনেতা যদি এক সিনেমায় কাজ করেন তা হলে কেমন হবে? প্রশ্নটি এ কারণে উঠেছে যে, অনন্ত সিনেমায় সব সময় বড় অঙ্কের বাজেট থাকে সেখানে শাকিব খান অভিনয় করলে অনেক ভালো হবে এমনটি সমালোচকরা বরাবরই দাবি করে থাকেন। এমন দাবির প্রেক্ষাপটেই সম্প্রতি দুই অভিনেতা একে অপরের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
চলতি মাসের ৭ তারিখ অনন্ত-বর্ষা জুটির ‘নেত্রী-দ্য লিডার’ সিনেমার ঘোষণার দিন শাকিব খানের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, ‘শাকিবের সাথে সিনেমা করলে দেশের ৯০ ভাগ সিনেমা দর্শক খুশি হবেন। দেখি দেশেই একটি বড় প্রজেক্ট করে আমি আর শাকিব খান মিলে একটি সিনেমা করতে পারি কি না। দেশের মানুষের ইচ্ছাটা পূরণ করার চেষ্টা করব।’
অনন্ত জলিলের এমন ইতিবাচক বক্তব্যের পর অপেক্ষা ছিল শাকিব খানের মন্তব্য জানার। সেই অপেক্ষা শেষ হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। ‘লিডার-আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে অনন্তর মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেন শাকিব খান।
ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘যদি ভালো গল্প, ভালো চিত্রনাট্য হয় তাহলে অবশ্যই অনন্ত ভাইয়ের সাথে কাজ করব। কেন করব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে কয়েকজন মানুষ ভালো কাজ করছেন, তাদের এখন এক সাথে হয়ে কাজ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে যদি অনন্ত ভাই কোনো সিনেমার প্রস্তাব দেন তাহলে অবশ্যই কাজ করব।’
শাকিব খান ও অনন্ত জলিল দু’জনেই একসাথে কাজ করতে চেয়েছেন, এখন প্রয়োজন উদ্যোগ। অনন্তের কথায় উদ্যোগের একটি আভাস পাওয়া গেলেও তা কবে হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে দু’জনের পর্দার রসায়ন যে খারাপ হবে না সেটি সহজেই অনুমেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাকিব খানের অভিনয়ের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। দেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যারা আগে শাকিবের অভিনয় শৈলী নিয়ে প্রশ্ন করতেন, কলকাতার ছবি বিশেষ করে, ‘ভাইজান’, ‘নবাব’ দেখার পর মত পরিবর্তন করেছেন। ভালো পরিচালক পেলে শাকিব যেকোনো ধরনের চরিত্রে মানিয়ে যান সেটা এখন প্রমাণিত। অন্য দিকে অনন্ত জলিল, এ পর্যন্ত যে ক’টা সিনেমা উপহার দিয়েছেন, সব ক’টিই প্রযুক্তি এবং বড় বাজেটের কারণে আলোচিত হয়েছে।
অনন্ত জলিলের দাবি অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবির বিনিয়োগ তার হাত ধরেই হয়েছে। এই বড় বাজেটের নীতি যদি তিনি শাকিবের সাথেও অভ্যাহত রাখেন তাহলে দেশের চলচ্চিত্র বাজারে সুদিন ফিরতে খুব বেশি বিলম্ব হবে না বলে মনে করেন সমালোচকরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement