২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসি সচিবের দৃষ্টিতে ভোট ভালো হয়েছে

ইসি সচিবের দৃষ্টিতে ভোট ভালো হয়েছে - ছবি : সংগৃহীত

গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা যে নির্বাচন দেখেছি, আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে যে রিপোর্ট পেয়েছি-তাতে বলবো ভালো নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সহিংসতা আমাদের তৃতীয় বিশ্বের মতো দেশে এ ধরনের নির্বাচনে কিছু ঘটনা ঘটে। সে হিসেবে আমি বলবো-বরঞ্চ কমই হয়েছে। মাত্র দু’তিনটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীরা এ কাজ করে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোগ দেখবে রিটার্নিং অফিসার। তারপরও যেসব অভিযোগ কমিশনে পাঠাবে তা কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন বললে তখন ব্যবস্থা নেবো। ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুটি কেন্দ্র স্থগিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইসি সচিব আলমগীর বলেন, দুটো কেন্দ্রে শুধু কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাদের ইভিএমে ভোট হোক তারা চায় না। আক্রমণ চালিয়েছিল ও ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়। বাকিগুলোকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি গেছেন। অধিকাংশ কেন্দ্রে ফলও হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হলে অনেকে মনে করে এখানে জাল ভোট দেয়া যাবে না, তারাই সাধারণত এ ধরনের আক্রমণ করে।

সচিব বলেন, কিছু লোক তো থাকেই সব ময়। চট্টগ্রামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য ২০ হাজার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল। কমিশনও যত রকম ব্যবস্থা নেয়া যায় নিয়েছিল। ২টা কেন্দ্র ছাড়া বাকিগুলো ফলাফল গণনা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আসবে। তারপর একীভূত হওয়ার পর খসড়া জানা যাবে। অনুমান করে বলা ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত যোগ করে এভারেজ করে না পাঠালে বলা ঠিক হবে না যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, উপস্থিতি তুলনামুলক একটু কম ছিল। শুধু চট্টগ্রামে নয়, যে কেনো বড় শহরে ভাসমান লোক থাকে, তাই উপস্থিতি কম হয়। চট্টগ্রামে আমরা আরেকটু বেশি আশা করেছিলাম। তারচেয়ে একটু কমই হয়েছে।

ভোটারদের অনিহার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনকার নাগরিকদের কেন যেন রাষ্ট্রের প্রতি তাদের যে দায়িত্ব আছে, ভোট যে তার অধিকার-এটা তারা মনে করছেন না। কষ্ট করে ভোট দিব, কেন অন্যকে ভোট দেব-এতে লাভ কী আমার। এ ধরনের একটা মন মানসিকতা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, উন্নতবিশ্বে বেশিরভাগ দেশে ভোটের ক্ষেত্রে এমন হয়। আমেরিকার ক্ষেত্রে দেখবেন-এতো উন্নত সব দিক দিয়ে উন্নত তারা। কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে তারা ভোট দিতে যায় না বেশিরভাগ মানুষ। তো আমাদের দেশেও অনেকটা ওই রকম। উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এ লক্ষণ দেখা দিয়েছে। মানসিকতা বদল হয়েছে। অন্যের জন্য কোনো ভোট দিব, কষ্ট করে ভোট দেব কেন।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী ভয়ংকর অবস্থা?- শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ২০ হাজার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য দেয়া হয়েছে। ভয়ংকর পরিস্থিতি কোথায় হল? যেখানে ৭৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুইটা কেন্দ্র স্থগিত। ইভিএম ভাঙচুর না করলে সেখানেও নির্বাচন হতো। ভোট নেয়া সম্ভব হয়নি বলে বন্ধ রাখা হয়েছে দুইটা। ২টা কেন্দ্রের সহিংসতা হয়েছে। পারসেন্ট করলে শান্তিপূর্ণ কতো, অশান্তি কতো।


আরো সংবাদ



premium cement