২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় হুমাইরার উত্তরপত্র ছেঁড়ার ঘটনায় যা বলছে তদন্ত কমিটি

হুমাইরার অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর - ছবি : সংগৃহীত

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: টিটো মিয়া।

অধ্যাপক টিটো মিয়া বলেন, ‘অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা) আমাদের তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করেছে। তারা শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সাথেও কথা বলেছে। সব মিলিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, পরীক্ষার দিন ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

তিনি বলেন, ‘অভিযোগকারী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া ও তার বাবা-মায়ের প্রদত্ত সাক্ষ্য বিবরণী পর্যালোচনায় স্পষ্ট হয় যে, শুরু থেকেই তার ওপর পরিবার ও সমাজের ডাক্তার হওয়ার প্রত্যাশার চাপ ছিল। এমনকি এর আগের বছরও এই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করেননি। এ বছরও পাস করেননি।’

‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আরো ভালো রেজাল্ট/স্কোর করে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির মিথ্যা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হুমাইরা। কিন্তু বাস্তবে পরীক্ষায় ৫৭টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না নিশ্চিত জেনে তার ব্যর্থতার দায় হল পরিদর্শকের উপর চাপিয়ে দেন। একইসাথে ভর্তির সুযোগ লাভের আশায় এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক গল্প সাজান তিনি,’ বলেন অধ্যাপক টিটো মিয়া।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার দু’দিন পর হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে এক নারী পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে একটি অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট পর তার পাশের একজন হিজাব পরা শিক্ষার্থী থেকে হলের দায়িত্বরত নারী পর্যবেক্ষক কানে থাকা ডিভাইস উদ্ধার করেন। এ সময় কানে ডিভাইস রাখা মেয়ের সাথে পাশের দুই শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ও আরেকজনের যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন। এ সময় তিনি তাদের সবার উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলেন।

কিন্তু ডিভাইস উদ্ধার করা শিক্ষার্থীর সাথে শেষ পর্যন্ত অন্য দুজনের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে হুমাইরা ও তার পাশের আরেক মেয়েকে নতুন প্রশ্ন ও ওএমআর শিট দেন ওই পর্যবেক্ষক।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।


আরো সংবাদ



premium cement