২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পাকিস্তান আমলেও ডাকসুতে এমন কলঙ্ক হয়নি : সেলিম

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম - ফাইল ছবি

ডাকসু নির্বাচনে যা হলো তা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ফের কলঙ্কিত করেছে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের সরকারের সময়েও ডাকসু নির্বাচনে এমন কলঙ্ক হয়নি। সরকারের যে নির্বাচনী সংস্কৃতি তা রুখে দেয়ার সময় এসেছে।

সোমবার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সেলিম বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসুর ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের ভোট জালিয়াতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন,‘এই ঘটনা গোটা জাতির জন্য বড় লজ্জার। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান গোটা দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পারেনি।’

সেলিম বলেন,‘২৮ বছর পর শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের মতের প্রকাশ ঘটাতে। কিন্তু নির্লজ্জভাবে অন্যান্য নির্বাচনের মতো এখানেও জালিয়াতি করা হলো। এটি কলঙ্কিত করল ডাকসুকে। তবে সরকারের নির্বাচনী সংস্কৃতি রুখে দেয়ার সময় এসেছে এখন।’

এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং প্রগতিশীলদের ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে বারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন : রাতেই ভোট : কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টকে অব্যাহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রীদের কুয়েত মৈত্রী হলে আগে থেকেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হলের প্রভোস্ট ড. শবনম জাহানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। 

প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই হলের প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।


প্রক্টর সকাল ১০টার দিকে কুয়েত মৈত্রী হলে গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ব্যালটে ভোট দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই এই হলের প্রভোস্ট ড. শবনম জাহানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ড. মাহবুবা নাসরিনকে।’

এরপর সবার সহযোগিতায় আবার ভোট শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।

আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলে একযোগে ভোট শুরু হলেও রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হলে ভোট শুরু করা যায়নি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর রোকেয়া হলের ভোট শুরু হলেও সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত কুয়েত মৈত্রী হলের ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি।


সকালে ছাত্রীরা হলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রোভিসি মুহাম্মদ সামাদ সেখানে যান। শিক্ষার্থীরা তখন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে ছাত্রীরা হলের প্রভোস্ট শবনম জাহানের পদত্যাগসহ তিনটি দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। আর ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে মোট ২২৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি হলে নির্বাচিত হবেন ১৩ জন করে। সেই হিসাবে ১৮ হল সংসদে প্রার্থী রয়েছেন মোট ৫০৯ জন।


আরো সংবাদ



premium cement