২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বন্ধ হচ্ছে পোশাক কারখানা

জরুরি পদক্ষেপ দরকার

-

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প তথা বস্ত্র খাতের উত্থান শুরু হয়েছিল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ইতিবাচক ভূমিকার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। সুদের উচ্চ হার ও ব্যাংকের অসহযোগিতায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তৈরী পোশাক কারখানা। এক হিসাবে দেখা যায়, গত মে মাসের ১৮ দিনেই বন্ধ হয়ে গেছে ২২টি কারখানা। বেতনভাতা পরিশোধ করতে না পারা, শ্রমিক বিক্ষোভ ও ‘শেয়ার্ড বিল্ডিং’ ব্যবহারের মতো নানা কারণে এসব কারখানা বন্ধ হচ্ছে। তৈরী পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলেছে, গত ছয় মাসে ৪৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তা। পোশাক খাতের এ অবস্থা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে বলে মন্তব্য করে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘এটি আমাদের তৈরী পোশাক শিল্প খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ তার এই দাবি যথার্থ। কারণ, এত বিপুল মানুষ চাকরি হারালে তারা আর কোনো খাতে চাকরি পাবেন না। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। তা ছাড়া, পোশাক কারখানাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আমরা দেখেছিÑ গত মাসে ঢাকার শ্যামলীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন একটি তৈরী পোশাক কারখানার কর্মীরা। নোটিশ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে শ্রমিকদের দাবি। কোরবানির ঈদের ছুটিতে যাওয়ার পর কর্মীরা এসে দেখেন, কারখানার গেটে তালা ঝুলছে। তা ছাড়া গেটে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। কারখানা বন্ধ, এমন একটি নোটিশ গেটে ঝুলানো হয়। এমন ঘটনা আমরা প্রায়ই দেখতে পাচ্ছি।
জাতীয় তৈরী পোশাক শ্রমিক ফেডারেশন জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে, মজুরি-সংক্রান্ত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাত হাজার ৪৫৮ জন পোশাক শ্রমিকের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০৪টি কারখানা থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ১২ হাজার ৪৩৬ জন শ্রমিককে। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব পোশাক কারখানাগুলোতে দীর্ঘ দিনের। এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ার কারণেও তৈরী পোশাক খাতের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে তৈরী পোশাক শিল্পের জাতীয় আয়ের মাত্র ০.০০১ শতাংশ রফতানিতে অবদান ছিল। এ শিল্প বিকাশের সাথে সাথে স্পিনিং, উইভিং, ডাইং ও ফিনিশিং খাত অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। তবে গত সাত বছরে গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে ভারী শিল্পের বিকাশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
পোশাক কারখানা বন্ধ হওয়ার পেছনে ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতা ও সুদের উচ্চ হারকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখা প্রয়োজন। এ ছাড়া, আরো অনেক বিষয় আছে, যা তৈরী পোশাক খাতের বিকাশে বাধা। তেমনি একটি বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন করতে না পারা। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পোশাক শিল্পের উত্তরণের উপায় উদ্ভাবন করা জরুরি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে জাগিয়ে তোলা : গাজা ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করতেই খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে সরকার : রিজভী বন্যার আশঙ্কায় সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকরা ফিলিপাইনে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম থাকবে তীব্র তাপদাহে পথের ধারে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই গাজা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন ব্লিংকেন ধামরাইয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ, কাঁদলেন মুসুল্লিরা বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ কলাপাড়ায় বালুর জাহাজ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ

সকল