২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘প্যাকেজিং-ফিনিশিংয়ে দক্ষতার নতুন মাত্রা তৈরি করেছে উত্তরণ’

আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্ব - ছবি : নয়া দিগন্ত

উত্তরণ-উন্নত জীবনের লক্ষ্যে প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদশের মোট চার দশমিক চার মিলিয়ন জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছে। দেশে প্রতিবছর এক দশমিক তিন মিলিয়ন হাবে শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ৬০ দশমিক সাত মিলিয়ন জনগোষ্ঠী। দক্ষতার অভাবে যুবকেরা দেশে-বিদেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে না বলেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মাহবুব হোসেন। তিনি উদ্ভাবনী উপায়ে উত্তরণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য সুইসকন্টাক্ট’কে ধন্যবাদ জানান। তিনি সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর তরফ থেকে স্বার্থকভাবে সামাজিক উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সিটি কর্পোরেশন, খুলনা শিপইয়ার্ড ও টিটিসির মত সংস্থাসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজ বলেন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অংশীদারিত্ব এখন আগের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরণ এনএসডিএ’র সাথে একটি ঘনিষ্ট কার্যকর সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এনএসডিএ’র দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এটি ট্রেড প্যাকেজিং-এ দক্ষ জনবলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্যাকেজিং ও ফিনিশিংয়ের কাজে দক্ষতার একটি নতুন মাত্রা তৈরি করেছে।

অতিথির বক্তব্যে এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেভরন বিশ্বাস করে, ‘আমরাই আমাদের জনগোষ্টির প্রতিনিধি’। আমাদের প্রতিষ্ঠানিক মূলনীতির ভিত্তিতে রয়েছে সেই সামাজিক ব্যবস্থার অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করা। আমরা উত্তরণের একটি অংশ হতে পেরে গর্বিত ‘

তিনি আরো বলেন, উত্তরণ বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের ঘাটতি পূরণে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করে যা নারীসহ অসংখ্য যুবকের সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে।

সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান বলেন, ‘আজ আমরা সবাই উত্তরণ প্রকল্পের অর্জনকে উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি, যার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণদের জীবনে পরিবর্তন বয়ে আনা। উত্তরণ ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে এই ছয় বছরে আমরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি। আমরা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে আরো বেশি কিছু পেয়েছি।’

জানা গেছে, উত্তরণ-উন্নত জীবনের লক্ষ্যে শীর্ষক প্রকল্প ২০১৬ সালে শুরু হয়। যা আওতায় প্রথম পর্যায় ২০১৯ শেষ হয়। যেখানে সিলেট অঞ্চলের ১৪০০ যুবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো বড় পরিসরে তিনটি কম্পোনেন্টে উত্তরণ প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। প্রথম কম্পোনেন্টে কমিউনিটির যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, দ্বিতীয় কম্পোনেন্ট সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভোলানন্দ উত্তরণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ এবং সর্বশেষ তৃতীয় কম্পোনেন্টে খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড ওয়েল্ডিং প্রশিক্ষণ চালু করা হয়।

প্রকল্পটির অর্থায়ন করেছে শেভরন এবং বাস্তবায়নে রয়েছে সুইসকন্ট্যাক্ট। শেভরন বিশ্বব্যাপী সমন্বিত জ্বালানি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি শীর্ষস্থানীয় নাম। যার ব্যাপ্তি জ্বালানি শিল্পের কার্যত প্রতিটি ক্ষেত্রে। শেভরন দেশের উত্তর-পূর্বে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছে।

শেভরন বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লিমিটেড এবং শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফোর্টিন লিমিটেড (‘শেভরন বাংলাদেশ’) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের বৃহত্তম উৎপাদক। যা মোট অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক গ্যাসের ৬০ ভাগেরও বেশি এবং অভ্যন্তরীণ ঘনীভূত উৎপাদনের ৮০ ভাগের বেশি উৎপাদন করে।

উত্তরণ প্রকল্প ঢাকা, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে কাজ করেছে। প্রকল্পের কার্যকলাপের সাথে সাথে বাংলাদেশের প্যাকেজিং শিল্পের চাহিদা পূরণের জন্য উত্তরণ প্রকল্প বাংলাদেশে প্রথমবারের মত একটি নতুন ট্রেড, ‘প্যাকেজিং ও ফিনিশিং অপারেশন’ চালু করেছে, যা জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাচাই হবার পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement