পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন জাতিসঙ্ঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে। বৈঠকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নারী শান্তিরক্ষীদের মাধ্যমে কৌশলগত যোগাযোগ এগিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রস্তাব দিলে তা স্বাগত জানান জাতিসঙ্ঘের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসাথে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী পরিবহনে বাংলাদেশ বিমানকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে সহায়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য খারেকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল খারে। একইসাথে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কৌশল বাস্তবায়নে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ শান্তিরক্ষী মোতায়েনে বাংলাদেশের যে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে তার প্রশংসা করেন খারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈঠক চলাকালে অতুল খারেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ও জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষকে জানানোর অনুরোধ করেন।
জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি সফরে রোববার থেকে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে তিনি এলডিসিবিষয়ক একটি যৌথ থিমেটিক সভায় যোগ দেবেন।
এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতিসহ জাতিসঙ্ঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক করেবেন তিনি। এই সফরে মোমেন বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জাতিসঙ্ঘ সদরদফতর ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি : সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা’ ও ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোর টেকসই উত্তরণ এবং পুনরায় ফিরে আসা রোধে সক্ষমতা বিনির্মাণ’ শীর্ষক দু’টি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
সূত্র : ইউএনবি