২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাওরের বাতাসে

-

দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ইউপি নির্বাচন পড়ায় সুযোগটা নিয়েছে শফিক। জুনের মাঝমাঝি সময়ে গারো পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নানা কাজে গ্রাম থেকে যারা বাইরে অবস্থান করে ওরা সবাই ভোট দেয়ার জন্য গাঁয়ের বাড়িতে আসছে। যারা ভোটার না, ওরাও এলাকার খোঁজখবর নিতে গ্রামে আসছে। অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছে শফিক।
প্রায় পনেরো বছর পাশের পুরাতন জেলা শহরে সপরিবারে বসবাস করে। চাকরি-সংসার, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা এসব সামলাতে গিয়ে গাঁয়ে যাওয়ার সময় হয় না। চীন মৈত্রী সেতুসংলগ্ন বাস স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী গেটলক বাসে ওঠার পর আর বেশি দেরি হয়নি। সিটিং হওয়া মাত্র বাস ছাড়ে। শম্ভুগঞ্জ বাজার পার হয়ে যখন গাঁয়ের বুক চিরে বয়ে চলা সড়কপথে ছুটছে, তখন বৃষ্টির কবলে পড়ে বাসটা। মুষলধারে বৃষ্টি। সাদা বৃষ্টির চাদরে ঢাকা পড়েছে সামনের গ্রাম-জনপদ। বর্ষণজলে স্নাত কালো সড়কপথে ছুটে যাচ্ছে বাস। ছন্দোময় বৃষ্টিমুখর পথের ভ্রমণ ভালো লাগে শফিকের। তাই সে বাসের ভেতরের কোলাহল থেকে মনোযোগ সরিয়ে বাইরে বৃষ্টির ছন্দের প্রতি আগ্রহী হয়। গভীর মগ্নতায় এক সময়ে মনে হয় যে, বৃষ্টির রাজ্যে প্রবেশ করে বাসটা বুঝি স্বপ্নিল জগতে ভেসে ভেসে দ্রুত বেগে ধাবিত হচ্ছে। মুষলধারে বৃষ্টির বাজনার প্রাবল্যে ঢাকা পড়ে যায় ইঞ্জিনের একটানা গোঙানি। প্রায় আধা ঘণ্টা বিরতিহীন বর্ষণের পর বৃষ্টি অনেকটা নেতিয়ে পড়ে। নেত্রকোনা বাসস্টেশনে এসে যখন বাসটা থামে, তখন টিপটিপ বৃষ্টির ছন্দ।
নেত্রকোনা পর্যন্ত বাসযোগাযোগটা ভালোই। সেখান থেকে উত্তর-পূর্বদিকে উপজেলা সংযোগকারী সড়কেও বাস চলে। কিছুদিন আগে একটা সড়ক সেতু ভেঙে যাওয়ায় বাস চলাচলে বিঘœ ঘটছে। বারবার বাস পাল্টাতে হয়। শফিক বাসের ঝামেলায় না গিয়ে ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত অটোরিকশায় যায়। ভাঙা ব্রিজে ততক্ষণে বেশ জটলা বেঁধে গেছে। আগামীকাল নির্বাচন বলে কথা। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা শহর থেকে শত শত পুলিশ ফোর্স যাচ্ছে নির্বাচনী এলাকার উপজেলা সদরে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় পার হতে হয় ছোট্ট নদী। মানুষের ভিড়ের তুলনায় নৌকা কম। তারওপর বৃষ্টিমুখর দিনে নদীর কাঁচাঘাট অনেকটা পিচ্ছিল হওয়ায় ওখানে অনাকাক্সিক্ষত জটলার সৃষ্টি হয়েছে। গাঁয়ের কর্দমাক্ত পথে অভিজ্ঞ শফিক কোনো রকম দ্বিধা না করে বাস্তবতার সাথে তাল মেলায়। জুতা খুলে পায়ে হেঁটে আগে গিয়ে নয়ে উঠে। অল্প সময়ে নদী পার হয়ে ওপারে উঠে। তারপর বাসের জন্য অপেক্ষা করেনি। একটা রিকশা পেয়ে তাতেই চড়ে বসে।

বর্ষায় আবহাওয়ার মেজাজ তো সব সময়ে এক রকম থাকে না। ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে প্রবল দমকা হাওয়া বইছে। রিকশা পুলার প্রবল বাতাসের সাথে পাঞ্জা লড়ে এগোচ্ছে। হাওরের আবহ বিরাজ করছে এখানে। পুবের বড় বড় বিলের পুবেই সুনামগঞ্জের তথা ধর্মপাশার হাওর এলাকা। হাওর থেকে ছুটে আসা প্রবল দমকা বাতাসের ঝাপটা এসে আছড়ে পড়ছে এই এলাকায়। সমুদ্রে নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো প্রচার করেছে। তাই এ রকম দমকা বাতাস। বাতাসের কবলে পড়ে রিকশাটা তেমন এগোতে পারছে না। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম ছিল। ওই গরমে তেতে থাকা শফিকের শরীরে হাওরের প্রবল ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটা অমৃতের মতোই লাগে।
প্রবল দমকা হাওয়া বিক্ষুব্ধ পথে দীর্ঘ সাত কিলো রিকশায় যেতে হবে। গুতুরা বাজারের পর পাঁচুরা খাল পর্যন্ত গাঁয়ের ভেতরের পথে রিকশাটা স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে। পাঁচুরা খালের সেতু পার হয়ে যেই মহিষাওরা হাওরের পশ্চিম পাড়ের রাস্তায় এসে পড়েছে, অমনি হাওরের প্রবল বাতাসে রিকশাটাকে ঠেসে ধরে। ফলে পায়ে পেডেল চেপে রিকশা চালানের আর জো রইল না। রিকশাওয়ালা প্রাণপণে রিকশা টেনে নিয়ে এগোচ্ছে। এভাবে আধা ঘণ্টার পথ এক ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে পৌঁছে শফিক। সেখান থেকে ভাড়া বাইকে গারো পাহাড়ের পাদদেশের সীমান্তঘেঁষা গাঁয়ের বাজারে পৌঁছল। নির্বাচন উপলক্ষে গ্রাম-জনপদে যে উৎসবের আমেজ শফিক গাঁয়ে না এলে এতটা বুঝতে পারত না। বাজারের অলি-গলি নির্বাচনের পোস্টারে ছেয়ে আছে। আগামীকাল নির্বাচন বলে পথসভা সমাবেশের মতো নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ। ভোটের জন্য শেষ প্রার্থনা জানানোর জন্য প্রার্থীরা ঘুরছে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বেলা তখন মাথার ওপরে। শুক্রবার-জুমার দিন। প্রার্থী কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা ভোটারদের মন জয় করতে যাচ্ছে বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে।

শফিক গাঁয়ের বাজারে তেমন দেরি করেনি। বাজার থেকে আধা কিলো দূরে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে পৌঁছার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাঁয়ের মেম্বার প্রার্থী মোক্তার হোসেন এসে দেখা করে। উপজেলা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সে। প্যান্ট-শার্ট ও জুতা-মোজা পরা মোক্তার সরকারে থাকা দলের সমর্থকই শুধু নয়, তার বড় ভাই আলমাস সরকারি দলের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকও বটে। কাজেই তার জেতার সম্ভাবনা যে শতকরা নব্বইভাগ। এর একটা হিসাব তার সাথে আসা অনুসারীরা শফিককে দেয়। শফিক তাদের নিয়ে নিজেদের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে। মসজিদে নামাজ পড়তে এসে বিগত সরকার দলের সমর্থক আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার পদপ্রার্থী সুবেশী মোফাজ্জল এসে শফিকের সাথে কথা বলে। তারপর দুপুরের খাবার, স্বজনদের সাথে নানা বিষয়ে গল্প করতে করতে বিকেল হয়।
শেষ বিকেলে ঘরের পুবের বারান্দায় বসে আছে শফিক। বৃদ্ধ মামার সাথে গল্প করছে। তখন খালি পায়ে লুঙ্গিপরা ক’জন লোক আসে। তাদের একজন মেম্বার পদপ্রার্থী। প্রার্থীর নাম মুসলেম। পেশায় পানদোকানি। খেটে খাওয়া মানুষ। আগে এক সময়ে মানুষের বাড়িতেও কাজ করত। সাতাশ-আটাশ বছরের ছেলে। ক্ষেতমজুরের কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে পান দোকান দিয়েছে। সামান্য জমিও চাষ করে। তার সাথে যারা এসেছে-ওরাও প্রান্তিক চাষি কিংবা খেটে খাওয়া মানুষ। ওদের গায়ে পুরাতন জামা-কাপড়। ওদের চোখে-মুখে দারিদ্র্যের সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি। সাথে আছে আত্মপ্রত্যয় এবং জীবন সংগ্রামের অবিচল প্রতিশ্রুতি। মুসলেম সলাজ মুখে সালাম ঠুকে বলে, মিয়া ভাই! আপনার আসার কথা শুইন্যা আমরা আইলাম।

আমি তো এ এলাকার ভোটার না।
আপনার কাছে তো ভোট চাইতে আই নাই, আইছি দোয়া চাইতে। মুরব্বি মানুষের দোয়া খুব দরকার।
তাই যদি হয়, আমি দোয়া করি তুমি এবং তোমরা সফল হও!
তাইলে আমরা যাই!
হ্যাঁ যাও, প্রতি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়া এমন করেই দোয়া চাও।
জি, আসসালামু...
মুসলেমের সাথে অন্যরাও সমস্বরে সালাম দিয়ে বিদায় নেয়। শফিকের মামা মুসলেমকে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখে বলে, আচ্ছা! কওছে দেহি, মুছলেমের নির্বাচনে নামার কী দরকার আছিল। করত মানুষের বাড়ি কাম-কাজ। তারপর দিল পানের দোকান। টাকা-পয়সাও তো বেশি নাই। তাইলে তার নির্বাচনে নামন লাগে ক্যারে! ঋণ-কর্জ কইরা নির্বাচন করতেছে। জিততে না পারলে তো পানের দোকানডাও আরাইতে অইব। তবে হুনছি বেবাক গরিব মানুষ নাকি তারে ভোট দিব। তাইলে তো তার নির্বাচনী নায়ের পালেও হাওয়া লাগব। মোক্তার হোসেনের কম্পিটিশন নাকি অইব তার লগেই।

তাহলে তো ভালোই হয়।
ভালো কেমনে অইব। একেবারে বকলমই বলা যায়। থ্রি-ফোর পর্যন্ত নাকি লেখাপড়া করছে। এলাকার মেম্বারি করব, একটু লেখাপড়া জানাও তো দরকার, তাই না!
নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যাকে ভালো মনে করবে, তাকেই তো জয়ী করবে, তাই না! দেখেন কী হয়।
হ, কালকেই তো ফলাফল জানা যাইব।
এসব আলাপ শেষে শফিকের মামা চলে যায়। নির্বাচন উপলক্ষে পরিচিত অনেকেই তো গাঁয়ে এসেছে। গ্রাম-জনপদের মিলনক্ষেত্র গাঁয়ের বাজারে গেলে সবার দেখা পাওয়া যাবে-এই ভেবে পড়ন্ত বিকেলে শফিক গাঁয়ের বাজারে যায়।
তাঁর বাল্যবন্ধু অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। সেও এসেছে গাঁয়ে। বিকেলে বাজারে তার দেখা পায়। সাজিদের ওষুদের দোকানে বসে আড্ডা দেয়। সমবয়েসি অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব যারা গাঁয়ে থাকে, তারাও এসে আড্ডায় শামিল হয়।
পরদিন সকাল ৮টা থেকেই প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু। শফিক এ এলাকার ভোটার না বলে সকালেই শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গারো পাহাড়ের পাদদেশে সীমান্তের এ উপজেলায় রাস্তার পাশের ভোট কেন্দ্রগুলোর নির্বাচনী দৃশ্য দেখতে দেখতে শফিক চলতে থাকে তার গন্তব্যের দিকে।
দুপুর বেলায় শহরের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। সন্ধ্যা ৮টার দিকে সে গাঁয়ের বাড়িতে মোবাইল ফোন করে নির্বাচনী ফলাফল জানার চেষ্টা করে। ওদিক থেকে জানানো হয়, ভোট গণনা চলছে। শফিক অপেক্ষায় থাকে। রাত ৯টার দিকে তার ছোট ভাই জানায়, পঁচানব্বই ভোটে মুসলেম বিজয়ী হয়েছে। তার নিটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোক্তার হোসেন পঁচানব্বই ভোটে ফেল করেছে। রাত ১০টায় অ্যাডভোকেট জালাল তাদের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিজয়ের খবর জানাতে ফোন করে। চেয়ারম্যানের প্রসঙ্গ শেষে বড় দুঃখ করে বলে, সমস্যা হয়ে গেল আমাদের মেম্বার নিয়ে।

কেনো?
আচ্ছা বলতো, যে মুসলেম আমাদের বাড়িতেই কাজ-কাম করত, সে হয়ে গেছে মেম্বার। এখন বল, মান-ইজ্জত কি রইল? শিক্ষিত-ভদ্র লোকদের অবস্থানটা কোথায় হতে পারে বলতে পারিস!
কথা তো সেখানে নয়। একটা হিসাব তোমাকে মনে রাখতে হবে।
কোন হিসাব?
গ্রামে নিশ্চয় তার শ্রেণি তথা প্রান্তিক চাষি ও খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা আমাদের মতো তথাকথিত ভদ্র ও শিক্ষিত স্বচ্ছল মানুষের চেয়ে অনেক বেশি, তাই না!
হ্যাঁ, তা তো হবেই।
গণতন্ত্রে যে ভোট ভোট বেশি পায়, সেই বিজয়ী হয়। মুসলেমের নির্বাচনী বৈতরণীর পালে হাওরের দমকা হাওয়ার মতো তার স্বশ্রেণীর ভোটাররা নিশ্চয়ই এমন প্রবল ধাক্কা দিছে, যার ফলে জয় ছিনিয়ে নিছে।
তাই বলে...
বিগত দিনগুলোতে নিশ্চয়ই তাদের পক্ষে মানে প্রান্তিক চাষি ও খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে কেউ কথা বলেনি। কিংবা তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েও তাদের কথা হয়ত বা রাখেনি। তাছাড়া তাদের কারো ভাগ্যের তো পরিবর্তন হয় নাই। এ জন্যই এবারের নির্বাচনে ওরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করছে।

এ কথা অবশ্য সত্য, সংখ্যাগরিষ্ঠরাই তাদের যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। এটিই তো গণতন্ত্র।
এবার ঠিক বলছ। আচ্ছা উকিল সাহেব! তুমি তো প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত। আমি তো সরকারি চাকুরে। রাজনীতি বুঝি না। তাই তোমার কাছে আমার একটা প্রশ্ন ...
কী প্রশ্ন ?
এই যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাদের গ্রামের মেম্বার নির্বাচিত হল। প্রকৃত ভোটারের ভোটে প্রান্তিক চাষি ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পেল তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি। এটাই তো নির্ভেজাল গণতন্ত্র, তাই না?
হ্যাঁ। কিন্তু আমাদের জাতীয় নির্বাচনে কী প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটে।
কেন নয়?
আমরা বলে থাকি, কৃষিপ্রধান দেশ এই বাংলাদেশ। তাই যদি হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট ক’জন কৃষক প্রতিনিধি এ পর্যন্ত যেতে পেরেছে বলতে পারো?
আসলে সেই অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলেও বলা হয়ে থাকে জনগণই সমস্ত ক্ষমতার উৎস। ক্ষমতা বদলের জন্য হলেও তো এক ধরনের গণতন্ত্র আছে, তাই না!
আমরা জানি পালা বদলের ক্ষেত্রে, দলীয় মনোনয়ন যাকে দেয়া হয়, সেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনমতের বিষয় প্রাধান্য পায় না। প্রাধান্য পায় দলীয় মনোনয়ন। এটাকেই কী প্রকৃত গণতন্ত্র বলা যায়!
এখনো তো এ দেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ হয় নাই। নিষ্ঠার সাথে ক্রমাগত চর্চা করলে একসময়ে আমরা প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকশিত রূপ পাবো। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় সরকারের নির্বাচন এক নয়।
মোবাইল ফোনে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিনের কথাগুলো শুনে শফিক ভাবান্তরে পড়ে। তার কথাগুলোতেও যুক্তি এবং সত্যের অস্তিত্ব আছে বলে আপাতত মনে করে। তারপরও তার মনে খটকা থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement