২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দিগন্ত সাহিত্যিক কবিতা সমগ্র

-


খুরশীদ আলম বাবু
স্বপ্ন সায়রে

স্বপ্ন সায়রে মন নেই আর
কারুণের হাতে লুণ্ঠিত ধন-
যেদিকে তাকাই-শুনি হাহাকার
অবসাদে তাই ভরে আছে মন।

শ্যামল স্বদেশ-দাঁড়াবো কোথায়?
বলে দাও আজ-স্মৃতিময় দিন-
আটকে গিয়েছে মলিন সোঁতায়
সাগরের বুকে অসহায় মীন-

উদাস পৃথিবী-জানতে চেয়ো না
ক্যানো হলো এই বোধোদয়
বুকের কোটরে-বেদনার সোনা
জ্বলেপুড়ে তারা হচ্ছে না ক্ষয়।

 

রওশন মতিন
আমার সন্তান হেঁটে যায়

ঋদ্ধ পিতার কাছে নতজানু সন্তান আমি
আদিম ফসিলে আমার প্রথম অক্ষর পরিচয়;

মহাকালের ঢেউ ভেঙে ভেঙে দেখেছি মুক্ত আকাশ,
দৃষ্টিরেখায় এক চিলতে স্বাধীন মানচিত্র ভাসছে
অনন্তের ক্যানভাসে যেন এক সমুদ্র মলাট,
যেখানে সবুজ বর্ণমালা পাড়ি দেয় মহাকাল;

পুনর্জন্মের চিঠি পাই, দিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে-
আমার সন্তান হেঁটে যায় দৃপ্ত পায়ে,
সবুজ বর্ণমালার অভয়ারণ্যে
উজ্জীবিত আদিম পাথরের চোখেও
ফোটে বর্ণ ও শব্দ সম্ভার।

 

রবিউল মাশরাফী
একুশের বিলাপ

একুশ এসেছে দু’চোখের কোনে শিশিরের ধারা; মন বিদীর্ণ করে,
অবশ শহর নরম সকাল হৃদয় সাগর ব্যথার জোয়ারে ভরে।
শোকের চাদরে দেহ বেষ্টনে প্রভাতফেরির মৌন মিছিলে কত,
ভেজা রাজপথ তপ্ত করেছি নগ্ন পদের রক্তাগ্নিতে শত।

অমর একুশে গ্রন্থমেলাও করেছি অনেক বহুকাল ধরে দেশে,
ইত্যবসরে হয়নি প্রমিত; রক্তের দামে ভাষা প্রাপ্তির রেশে।
এমন নজির কোথাও কি আছে সাহসী ছেলেরা নশ্বর ধরাধামে?
ভাষার জন্য পাঁজর নিংড়ে রক্ত ঢেলেছে সংগ্রাম ‘সরঁজামে’?

যাদের স্বপ্নে বাংলা ভাষার সোনালী-রূপালী অক্ষরগুলো রচে,
তাদের স্মরণে মুক্ত-মানিক তাদের বরণে দীপ্ত তারকা খচে।
সেই মধুমাখা বর্ণের পরে বর্ণ বসিয়ে সাজিয়ে যতন কোরে,
বর্ণমালার আলপনা আঁকি দেয়ালে সড়কে একুশের মায়া ডোরে।

কতো ফুল পড়ে শহীদ মিনারে কতো মানুষের ঢল নামে দেখি চেয়ে,
উচ্চারণের বিভ্রাট শুনে কীযে ব্যথা জাগে মন থাকে দুখে ছেয়ে।
হৃদ হয় খরা দুটি আঁখি ভরা ডালিম দানার রক্তাভ জল ঝরে,
ভাষার গরিমা না হলে রক্ষা শোণিত-প্রবাহ, বহে বাংলার ঘরে।

হে ভাষা সেনারা! তোমরা দিয়েছো-আমার মায়ের ভাষা সম্মান যত,
হীরক-খচিত কোহিনূর তাজ সব তোমাদের, সালাম জানাই শত।

 

মোস্তফা হায়দার
রক্তের দগদগে দাগ

বাহুতে জড়ানো রক্তের দগদগে দাগ নিয়ে
একেকটা আজ হিজড়ার সারথি হয়ে ওঠছে!
তাদের অস্তিত্ব না থাকলেও মেরুদণ্ড অনেক শক্ত;
হাতের তালিয়ায়, কোঁচার বাহাদুরিতে বায়োস্কোপ দেখায়-

রক্তের দামে কেনা ভাষাকে বন্ধক দিচ্ছে হিন্দির পেটিকোটে
কখনো বাংলিশের জোয়ারে ভাসিয়ে সিন্দুক খোলার তাবিজ খোঁজে
কখনো মেলায়, কখনো ঠেলায়, কখনো খেলায়
ভেঙে চলে আপাদমস্তক বিশ্বাসের তরী,
শহীদের চাদরে আগুন দিয়ে প্রজ্বলিত করে ভিনদেশী সংস্কৃতি
তারপরও বলে-বেঁচে আছি, মেরুদণ্ডহীন সময়ে!

ভাষাকে বস্তির আবর্জনার স্তূপে চাপা দিতে দিতে
জাঙ্গিয়া খোলে মা’রেফাত করছে অ-আ, ক-খ বর্ণমালার!

 


নাজমুল হুদা মজনু
রক্তিম কবিতা গোলাপ

একটি সুন্দর সকালের তিয়াসে
সন্ধ্যা-রাত অমানিশা ছিঁড়ে
ছুটছি দিগন্তের দিকে
হৃদয়ে নিপুণ করুণ আকুতি!
আমি তো রোমিও নই তবু
বুকে দুরন্ত ভালোবাসা
ছুঁয়ে যায় মেঘলা আকাশ
রঙধনু রক্তিম কবিতা গোলাপ।
শিশিরের কোমল পরশে আসে
স্বপ্নের সোনালি ভোর
মায়ামাখা আকুল আবাহনে
সচকিত হয় সবুজ সময়
সুমধুর সুর বাজে উচ্চ মিনারে।


আরো সংবাদ



premium cement
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার নীলনকশা থামছে না : রিজভী তাজউদ্দীন মেডিক্যাল দুদকের অভিযান : নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য মিলেছে পূর্ব কালুরঘাটে বেইলিব্রিজে টেম্পু চাপায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত কুবি শিক্ষকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী শনাক্ত দিনাজপুরে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১ ভারতে মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা তীব্র গরমে কাঁঠালিয়ায় এক শিক্ষার্থী অসুস্থ উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি পরিকল্পিত হত্যা রাজশাহীর পদ্মায় ডুবে তাবলীগ জামাতের সদস্যের মৃত্যু রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন

সকল