২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাহিত্যে পর্যটন শিল্প

-

বাংলাদেশ প্রকৃতির নন্দনকাননের সৌন্দর্যমণ্ডিত কোনো সার্থক চিত্রশিল্পীর নিখুঁত চিত্রকর্মের সাথে তুলনীয়। ব-দ্বীপসদৃশ এ বঙ্গভূমির রয়েছে বিচিত্র ভূভাগ এবং সমুদ্র শুনিত বিস্তীর্ণ উপকূল। সমুদ্র তটরেখা ও ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যা বিদেশী পর্যটকসহ দেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ দেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আছে সমান্তরাল ভূমি, পাহাড়-পর্বত, জলপ্রপাত, চা-বাগানের আহামরি দৃশ্য, সবুজ গালিচার মতো শস্য ক্ষেত, মাঠ-প্রান্তর। আর বিশেষ করে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে রুপালি সব ছোট-বড় নদী। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণের অভাব নেই। শুধু দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া একটি ধানের শীষের ওপর একটি শিশির বিন্দু।
মানুষ কখনোই এক জায়গায় স্থির থাকতে পারে না, পথ চলাতেই তার আনন্দ। দেশ-দেশান্তরে পরিভ্রমণ করে মানুষ তার অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য পিপাসাকে নিবৃত্ত করে। এ পরিভ্রমণকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠছে পর্যটন শিল্প। মানুষের একে অপরকে জানার আগ্রহ থেকেই পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে। হয়তো পর্যটনের নামে নয়, কিন্তু পর্যটন বিষয়টি অনেক পুরনো। মার্কোপোলো, ইবনে বতুতা, ভাস্কো-দা-গামা, কলম্বাস, ক্যাপ্টেন কুক, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং-সহ বিশ্ববিখ্যাত পর্যটকরা ইতিহাসে স্থায়ী হয়ে আছেন। সভ্যতা সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভের জন্য, কেউ কেউ অজানা ভূখণ্ডকে আবিষ্কারের জন্য ভয়কে তুচ্ছ করে দেশ পর্যটন করেছেন, পাড়ি জমিয়েছেন অজানার পথ। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অচেনা পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলেই অনেক অজানা পাহাড়-পর্বত, মরুভূমি, মেরুদেশ কিংবা অনেক ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতার সন্ধান পেয়েছিলেন। এসব কাহিনী পড়ে আজ মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ হচ্ছে, মানবসভ্যতা হচ্ছে সমৃদ্ধ।
অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার, অদেখাকে দেখার আকাক্সক্ষায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন, এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করাকে পর্যটন বলা হয়। বর্তমানে পর্যটন শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সমূহ সম্ভাবনা থাকলেও বিভিন্ন কারণে এ দেশের পর্যটন শিল্পকে প্রকৃত শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা যায়নি। তবে পর্যটন শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই বাংলাদেশে পুরোপুরি বিদ্যমান। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে পুরোপুরি শিল্পের মর্যাদায় উন্নতি করা যায়। আর তা সম্ভব হলে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের পদভারে বাংলাদেশ মুখরিত হয়ে উঠবে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
বাংলাদেশ একটি সুপ্রাচীন দেশ। প্রাচীনত্বের গরিমায় বাংলা সারা বিশ্বে পরিচিত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজরাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দারুণভাবে উন্নতি লাভ করেছে। আমরা জানি খ্রিষ্টপূর্বকালে বিশ্ব জয় করেছিল বাংলার মসলিন। পৃথিবীব্যাপী এ দেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল সোনারগাঁওয়ে তৈরি সূক্ষ্ম বস্ত্র মসলিনের মাধ্যমে। দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে দেশের জন্য আর্থিক সমৃদ্ধি আনয়ন করেছে। বর্তমানে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা বর্তমান। এ ছাড়াও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন (সুন্দরবন) রয়েছে বাংলাদেশে যা বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণে রাখতে পারে ব্যাপক ভূমিকা। আমাদের রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যা অবিচ্ছিন্নভাবে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। আরো একটি কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে গৌরবজনক আসন অলঙ্কৃত করে আছে, তা ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।’

বস্তুত ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের দেশটি যেন প্রাকৃতিক এক মিউজিয়াম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উপমহাদেশের এ দেশটি তাই মনমাতানো, দৃষ্টিনন্দন এবং কবি লেখক তৈরিতে সহায়ক হয়েছে। চোখজুড়ানো মন ভুলানো এ দেশ আমার আপনার গর্ব। এর সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে কবি পেয়েছে ভাষা, মানুষ পেয়েছে আশা। পর্যটক চোখ খুলে মন ভরে উপভোগ করে এর সৌন্দর্য, মেটায় অন্তরের তৃষ্ণা ভ্রমণের মাধ্যমে। তাই তো কবি বলেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।
নদীর বুকে ভেসে থাকা রঙ-বেরঙের পাল তোলা সারি সারি নৌকা মণ-প্রাণকে দোলা দেয়। ছোট-বড় ঢেউ এবং কখনো নিস্তরঙ্গ পানির ওপর দিয়ে ভেসে থাকা যন্ত্রচালিত জলযান, লঞ্চ, স্টিমারের যাতায়াত দর্শনার্থী মানুষের মনে জাগায় পুলক। বাংলার এই রূপে মুগ্ধ হয়েই কবি গেয়েছেন- আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে থাকে সারা মন/শ্যামল কোমল পরশ ছড়ায় নেই কিছু প্রয়োজন।
ছয় ঋতুর এ-দেশে কত রূপ, কত গান, তা দেখে উদাস পথিকের তেষ্টা মেটে না। সবার কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ে গান- আজো মা তোর মুখের হাসি হয়নি দেখা দুচোখ ভরে/আজো মা তোর গল্প আমায় হৃদয়-দেহ পাগল করে।
বাংলাদেশের অনুপম নিসর্গ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পর্যটন শিল্প প্রসারের অনন্য উপাদান। এ অনুপম নৈসর্গিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগের জন্য বাংলাদেশে যুগে যুগে হাতছানি দিয়েছে কাছের ও দূরের ভ্রমণপিপাসুদের। তারা অবাক হয়ে দেখেছে এই পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যা ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’, সবুজ শ্যামল প্রকৃতিময় আর আছে সুখ-শান্তি সমৃদ্ধির অফুরন্ত ভাণ্ডার। অনেকেই তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় প্রশস্তি গেয়েছেন বাংলাদেশের মনোলোভা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। এমনই একজন পর্যটকের উক্তি-বাংলাদেশে প্রবেশের হাজার দুয়ার খোলা রয়েছে কিন্তু বেরুবার একটিও নেই।

তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটন এমনই এক অর্থনৈতিক খাত যেখানে প্রচুর বিনিয়োগ না করেও বিপুল আয় করা সম্ভব। পর্যটনের জন্য তেমন নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হয় না। শুধু প্রকৃতিপ্রদত্ত উপকরণকে রূপান্তরের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করলেই চলে। পর্যটন স্পটগুলোকে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করলেই এ খাতে বিপুল আয় করা সম্ভব। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যাদের জাতীয় আয়ের বিরাট অংশই পর্যটন খাত হতে আসে।
পৃথিবীকে আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজ বলছি; অর্থাৎ সারা পৃথিবীর সব দেশ মিলেমিশে একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে সময় এসেছে পরস্পরের কাছে পরস্পরকে মেলে ধরার। নিজের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ভ্রমণপিপাসু বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের এখনই সময়। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও পর্যটন শিল্প যথাযথ উন্নতি ও তদারকির মাধ্যমে লাভজনক শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
আমাদের বৈদেশিক আয়ের একটা বিশেষ উৎস পর্যটন শিল্প। বিশ্বায়নের যুগে পর্যটন একটা লাভজনক অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির মাধ্যম। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও পর্যটন শিল্পের যথাযথ উন্নতি ও তদারকিতে লাভজনক হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে। পেট্রো ডলারের মতো চিংড়ি ও পোশাক রফতানি, চা, চামড়া, পাট যা দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ধরে রাখতে এককালে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল সে তুলনায় বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে তাদের ব্যয়িত বিদেশী কারেন্সি অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ, শহরের যান্ত্রিক জীবনের বাইরে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসা কিংবা হঠাৎ করে কোনো নতুন পরিবেশের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য মানুষ ছুটে যায় প্রকৃতির কাছে। এ ধরনের নয়নকাড়া প্রাকৃতিক অবস্থান বাংলাদেশে প্রচুর রয়েছে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল ও চা বাগান, তামাবিল, জাফলং, রাঙামাটির নয়নাভিরাম কৃত্রিম হ্রদ, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন বনাঞ্চল। এ ছাড়াও রয়েছে উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চল, বর্ণাঢ্য উপজাতীয় ও গ্রামীণ জীবনধারা।
রোমাঞ্চকর ও পরিবেশভিত্তিক পর্যটনের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে বাংলাদেশে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদসম্ভার দেখা যায়। রাঙ্গামাটির নৌবিহার, মৎস্য শিকার, জলক্রীড়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ট্রেকিং, হাইকিং ইত্যাদির সুযোগ রয়েছে। সাগরের বুক চিরে অপরূপ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পর্যটক আকর্ষণের এমনি অনেক সুযোগ আছে আমাদের এই বাংলাদেশে।
ঐতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন সাংস্কৃতিক পর্যটনের পর্যায়ভুক্ত। মহাস্থানগড়, ময়নামতি, পাহাড়পুর, ঢাকার লালবাগের দুর্গ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় জাদুঘর, সোনারগাঁও জাদুঘর, রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর, নাটোর ও পুঠিয়ার রাজবাড়ি এবং এমনি আরো অনেক সাংস্কৃতিক ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে বাংলাদেশে।
বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী লোকেরা মূলত ধর্মীয় অনুভূতি থেকেই কিছু কিছু স্থানে ভ্রমণ করে। ঐতিহাসিক ধর্মীয় সাংস্কৃতিক আকর্ষণীয় স্থান বাংলাদেশে বিস্তর। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, দরগাহসহ বিভিন্ন নিদর্শন ছড়িয়ে আছে সারা দেশময়। এসব আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, ঢাকার সাতগম্বুজ মসজিদ, রাজশাহীর শাহ মখদুমের মাজার, পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার, মহাস্থানগড়, নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ, ঢাকেশ্বরী মন্দির, আর্মেনিয়ান চার্চ’, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর দরগাহ, সিলেটের হজরত শাহজালালের দরগা, কক্সবাজারের রামু মন্দির, রাজশাহীর তাহেরপুর রাজবাড়ি প্রভৃতি।

বিনোদনমূলক পর্যটনের জন্য এ দেশের নদনদী আকর্ষণীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বহুকাল যাবৎ। বাংলাদেশ নদীবহুল দেশ। ২৫৭টি ছোটবড় নদনদী জালের মতো বিস্তৃত হয়ে আছে সারা দেশময়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য অনেকাংশেই ফুটে ওঠে নৌভ্রমণের মাধ্যমে।
পাহাড়-পর্বত ঘেরা বান্দরবান, রাঙ্গামাটির সবুজ বনানীতে অপরূপ সৌন্দর্য সহসাই মনকে উচাটন করে দেয়। ছোট-বড় পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী, ঝরনা আর হ্রদের অপার নান্দনিকতা। যেকোনো মানুষকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে। পাহাড়ি উপজাতিদের কৃষ্টি সংস্কৃতি জীবনযাত্রার বর্নাঢ্যতা মুগ্ধ করে পর্যটনপ্রিয়দের।
এই বাংলাদেশেই অবস্থিত পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন যার নাম সুন্দরবন। খাল, নদী, সাগরবেষ্টিত সুন্দরবনের জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ। যে বাঘ ভুবন বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার নামে অভিহিত। সুন্দরবন ছাড়া এই বাঘ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এ ছাড়া আছে ঝাঁকে ঝাঁকে চিত্রল হরিণ, বানর, শূকর, বনমোরগ, অজগরসহ নানা প্রকার বন্যপ্রাণী। সুন্দরবনে অবস্থানকালে পর্যটকদের ঘুম ভাঙাবে অগুনতি পাখির কল-কাকলী যা একজন পর্যটককে স্বপ্নিল আবেশে মুগ্ধ করতে পারে।
সিলেট অঞ্চলের চা বাগানগুলোও বেশ সৌন্দর্যমণ্ডিত, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। জাফলংয়ের জলপ্রপাত, ছাতকের পাথর কেয়ারি নয়নভোলানো স্থান।

এ ছাড়া তামাবিল, চট্টগ্রামে ফয়েস লেক, যমুনা সেতু, মহাস্থানগড়, রামসাগর, সোনারগাঁও, লালবাগ দুর্গ, কান্তজীর মন্দির ইত্যাদি পর্যটনের স্থান হিসেবে বেশ সমাদৃত।
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সংস্থার অধীনে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, কুয়াকাটা, রংপুর, সিলেট প্রভৃতি স্থানে ছোট-বড় অভিজাত শ্রেণীর হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্রীড়াকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসহ নানা ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নিরাপত্তার জন্য সৈকত পুলিশের ব্যবস্থাও আছে। রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাইয়ে হাউসবোট ও স্পিডবোটের ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সংস্থা ট্যুরিস্ট গাইডের ব্যবস্থা করেছে। ব্যাপক সুবিধার পাশাপাশি পর্যটনের বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। পর্যটনকে একটি শক্তিশালী মাধ্যমে হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যে বিষয়টিকে প্রথমে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তা হলো পর্যটকদের চাহিদা ও নিরাপত্তা। বিশ্বের নানা দেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের দেশের দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে হবে। বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দর্শনীয় ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থানগুলোর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে হবে। আর সেগুলো সম্ভব হলে বিদেশী পর্যটকদের আগমন বেড়ে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের পথ সুগম হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
রুশ অগ্রযাত্রার মধ্যেই ভারী হামলা প্রতিহত করল ইউক্রেন কাতার ছাড়তে হলে হামাসের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় বগুড়ায় বসতবাড়িতে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ, আহত ৪ নগরকান্দায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নাটোরে গণধর্ষণের দায়ে তিন কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ ঘাটাইলে সংরক্ষিত বনে দুর্বৃত্তের আগুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই ভালুকায় প্রচণ্ড তাপদাহে ২ শিক্ষার্থী অসুস্থ গাজীপুরে অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল