একজন লেখকের দুই ধরনের ভাষা আছে। দু’টি ভাষায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ দু’টি ভাষায় মানুষ স্বভাবজাত নিয়ম মেনে বাঁচে। একটি কথা অন্যটি লেখা। আমি ভেবে দেখেছি আমি যা মুখে বলছি তা আমাকে তৃপ্তি দিচ্ছে না কিংবা আমার মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশিত হচ্ছে না। সে জন্যই আমি লেখার মাধ্যমে আমার ভাষা প্রকাশ করতে শুরু করি। মাত্র এগার বছর বয়সে আমার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। প্রথম লেখা প্রকাশের পর। খুব আনন্দ লেগেছিল তবে আমি খুব উৎসবমুখর ছিলাম তা কিন্তু নয়। কারণ এটি ছিল আমার মনের ভাব প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। এ মাধ্যমে আমি মাত্র যাত্রা শুরু করলাম। সেই এগার বছর বয়স থেকে এখনো লিখছি। আমার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। নিয়মিত লিখে আসছিলাম। প্রকাশিত কিংবা অপ্রকাশিত লেখা দিয়েই প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ হয়। ভালো সাড়াও পাই।
লেখালেখি করতে এসে খুব একটা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়নি। তবে আমার লেখা অনেকের কাছে ভালো লাগেনি। না লাগাটা স্বাভাবিক। সে জন্য আমি থমকে যাইনি। আর এ প্রতিবন্ধকতাকে আমি ভয়ও পাইনি। পাশাপাশি অনেকের ভালোও লেগেছি।
আমি সম্ভবত মনের সম্পূর্ণ ভাবটুকু প্রকাশ করতে পারিনি। কবিতা লেখা, প্রবন্ধ কিংবা কলাম লেখা এমনকি সাংবাদিকতা করেও পুরোপুরি তৃপ্ত হইনি। তাই বলে থেমে থাকিনি। জীবনের এ অবস্থানে এসেও আমি লিখছি। লেখাকে আমি নেশা কিংবা পেশা বলতে চাই না। এটি আমার মত প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। আমার ইচ্ছে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগেও লিখে যেতে চাই।
অনুলিখন : হাসান সাইদুল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা